মাগুরার মহম্মদপুরে মোশারফ হোসেন মৃধা (৫৫) নামের এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (২ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে বালিদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়দের দাবি, আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
পরিবারেরে সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে মোশারফ হোসেন মৃধা বালিদিয়া বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে তবিবর মৃধার বাড়িসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরার হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বালিদিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস শিকদার এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মফিজুর রহমান মীনার সমর্থকদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
এই বিরোধের জেরে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে আবু সাঈদ মোল্যা নামের অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য খুন হন। তিনি ইউনুস শিকদারের সমর্থক ছিলেন। গত সোমবার রাতে খুন হন মোশারফ হোসেন মৃধা। তিনি মফিজুর রহমান মীনারের সমর্থক।
নিহত মোশারফ হোসেন মৃধার ভাতিজা মিনারুল ইসলাম জানান, তাঁর চাচাকে প্রতিপক্ষের লোকজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
সংবাদ পেয়ে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মাগুরা সদর সার্কেল) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’
জানতে চাইলে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অসিত কুমার রায় বলেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। খুনের সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছি। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’