ছেলের বিয়ে দিয়েছেন কয়েক মাস আগে। পুত্রবধূকে নিয়ে আনন্দেই কাটছে দিন। কিন্তু আজ বৃহস্পতিবার এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার পথে বাধল বিপত্তি। ইউএনও পথেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাঁকে জেলে পাঠিয়েছেন। পুত্রবধূকেও তার মামাশ্বশুরের জিম্মায় দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে ডুমুরিয়ার সাজিয়াড়া গ্রামে আজ বিকেলে। ছেলের মাকে ২৯ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান।
আদালত সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আরজি সাজিয়াড়া গ্রামের মো. শুকুর আলী গাজীর ছেলে আল-আমিন গাজী (২০) কয়েক মাস আগে যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ভরতভায়না গ্রামের মো. ইসরাফিল হোসেনের মেয়ে মীম খাতুনকে (১৪) বিবাহ করেন। কিশোরী বধূ স্বামীর সংসারেই থাকছে।
আজ বিকেলে ছেলের মা পুত্রবধূ ও ছেলেকে নিয়ে একই এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় দাওয়াত খেতে যাচ্ছিলেন। পথে ইউএনওর সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। কিশোরীকে বধূ সেজে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় ইউএনওর। মীমকে ডেকে তার বয়স জিজ্ঞেস করেন। মীম বলে, তার বয়স ১৮ বছরের নিচে। এর এক ফাঁকে তার স্বামী আল–আমিন গাজী পালিয়ে যান।
পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছেলের মাকে বাল্যবিবাহ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৭-এর ৮ ধারায় ২৯ দিনের কারাদণ্ড দেন ইউএনও। আর মীমকে তাঁর স্বামীর মামার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।