ভারতের কর্ণাটকে একটি পারিবারিক আদালতে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করলেন স্বামী। বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করার পর কাউনসেলিং সেশনে যোগ দিতে আদালতে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। হত্যাকাণ্ডের কয়েক মিনিট আগেও সাত বছরের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা হিসেবে একসঙ্গে থাকতে সম্মত হয়েছিলেন তাঁরা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, হাসান জেলার হোলেনরাসিপুর পারিবারিক আদালতে এক ঘণ্টার কাউনেসলিং শেষে বেরিয়ে আসার সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আদালত থেকে বের হওয়ার পথে শিবকুমার তাঁর স্ত্রী চৈত্রাকে অনুসরণ করেন এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করেন। এ সময় প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।
আহত চৈত্রাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাস দেওয়া হয়। গলায় গভীর কাটার কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর।
হামলার পর পালানোর চেষ্টা করলে পথচারীরা শিবকুমারকে ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় শিবকুমারের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা তদন্ত করে দেখছেন, কীভাবে আদালত চত্বরে লুকিয়ে অস্ত্র নিয়ে যেতে পেরেছিলেন তিনি।
হাসান জেলার সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা হরিরাম শঙ্কর বলেন, ‘ঘটনাটি আদালত চত্বরেই ঘটে। আমরা ওই ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে রেখেছি। সে অপরাধ করার জন্য যে অস্ত্রটি ব্যবহার করেছিল, তাও আমরা জব্দ করেছি। কাউনসেলিং সেশনের পরে কী ঘটেছে এবং কীভাবে সে আদালতের ভেতরে অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল তা আমরা তদন্ত করব। এটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হবে।’