১৭ বছর বয়সী এক তরুণকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ হয়েছে ফ্রান্সে। বিক্ষোভকারীরা মেয়রের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এ সময় মেয়র বাড়িতে না থাকলেও হামলা থেকে বাঁচতে সন্তানদের নিয়ে পালানোর সময় পা ভেঙেছেন মেয়রের স্ত্রী।
আজ রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্সেই শহরে পুলিশ-বিক্ষোভকারীদের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে ৭১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে এক হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন দাবি করছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই শান্ত হয়ে আসছে।
পুলিশ বলছে, দক্ষিণ প্যারিসের উপশহরে বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় মেয়রের বাড়িতে হামলা চালায়। তারা অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। এমনকি তারা মেয়রের স্ত্রী-সন্তানদের দিকে রকেট নিক্ষেপ করে। সন্তানদের নিয়ে পালানোর সময় মেয়রের স্ত্রীর এক পা ভেঙে গেছে।
এদিকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় সময় রোববার সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নিয়ে বৈঠক আহ্বান করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২৭ জুন) পুলিশের গুলিতে নিহত হন আলজেরীয় তরুণ নাহেল। এর পর থেকেই বিক্ষোভে ফুঁসে ওঠে মানুষ।