শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে চারজনের করা আপিল মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এম এ আউয়াল জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর এই আদেশ দেন।
অপর তিনজন হলেন—গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসসহ চারজন ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিন স্থায়ী করার আবেদন করেন। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল জামিন স্থায়ী না করে আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন বর্ধিত করেন। একই সঙ্গে ওই দিন আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন।’
ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে তাঁদের আইনজীবী আপিল শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন। আইনজীবী ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ‘ড. ইউনূসের সাজা স্থগিতের বিষয়ে হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করা হবে।’ পরে ট্রাইব্যুনাল সময় দেন।
গত ৩ মার্চ ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এম এ আউয়াল জামিনের মেয়াদ ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে আপিল শুনানির জন্য একই দিন ধার্য করেন। পরে ২৩ মে পর্যন্ত ও ৪ জুলাই জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি এই চারজনের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল ৩ মার্চ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন ড. ইউনূসসহ চারজনকে।
এই মামলায় গত ১ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর উচ্চ আদালতে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকেই এক মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত।
আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন-ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন-ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন-সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।