৫৪ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার পুলিশের দুই কনস্টেবল মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. আবু সায়েমের দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহা দিবা ছন্দা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি মো. মোশারফ হোসেন ও মো. আ. বাতেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ বিকেলে চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির ওয়ারী জোনাল টিমের এস আই মো. রফিকুল ইসলাম আসামি দেলোয়ার ও সায়েমের সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অপর দুই আসামি মোশারফ ও বাতেনের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। তাঁরা জবানবন্দি দেওয়ার পর কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতে শ্যামপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মো আব্দুর রব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতের একটি সূত্র জানিয়েছে, দুইজনই আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁরা ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা এ ধরনের ছিনতাই আরও করেছেন। জবানবন্দিতে তাঁরা সেটি বলেছেন।
এর আগে গত ৮ অক্টোবর সকাল ৯টার দিকে ব্যবসায়ী আবুল কালামের নাতি তানভীর হোসেন নয়ন ব্যাগে করে ৫৪ লাখ টাকা মতিঝিলের জনতা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য রওনা হন। তিনি হেঁটে শ্যামপুরের ধোলাইপাড় ইউনিকেয়ার হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে দুই ব্যক্তি তাঁর পথ রোধ করেন। এরপর তাঁকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে ধোলাইপাড় মোড় ইউটার্ন করে মাওয়াগামী রোডে যান। আব্দুল্লাহপুর পার হয়ে রসুলপুর নামক স্থানে ফাঁকা রাস্তায় তাঁকে নানা হুমকি দিয়ে ৫৪ লাখ টাকা কেড়ে নেন। এরপর তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাঁকে ফাঁকা রাস্তায় ফেলে দ্রুত গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী আবুল কালাম বাদী হয়ে শ্যামপুর মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।