রাজধানীর মিটফোর্ড বালুরঘাট এলাকায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত আলমগীর হোসেন (৪০) নামের এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তিনি মারা যান।
আলমগীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, আলমগীরকে ভোরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বুকের ডান পাশে কয়েকটি, ডান গালে ও হাতে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল।
এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন (৩৮) নামের আরেক শ্রমিক আহত হন। তিনি মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে এই ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। নিহত আলমগীর ও আহত আনোয়ার হোসেনের সহকর্মী মাহবুল খান বলেন, ‘তাঁরা দুজনই কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা এলাকায় থাকেন। মিটফোর্ড হাসপাতাল-সংলগ্ন বালুরঘাটে ট্রাক থেকে ভাঙারি মালামাল নামানোর কাজ করেন তাঁরা। ভোরে যখন কাজ করছিলেন তাঁরা, তখন এক ব্যক্তি দৌড়ে তাঁদের কাছে এসে জানান, ছিনতাইকারীরা তাঁর বিদেশ যাওয়ার কাগজপত্র ও টাকা-পয়সা সব ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। ছিনতাইকারীরা নৌকায় করে পালিয়ে যাচ্ছিল। ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে তাঁরা দুজন আরেক নৌকায় করে ছিনতাইকারীদের ধরতে যান। এ সময় ছিনতাইকারীরা নৌকার মধ্যেই তাঁদের দুজনকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতের পর ছিনতাইকারীরা দুটি নৌকা নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপারে চলে যায়। তখন আহত অবস্থায় তাঁদের দুজনকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে আলমগীরের অবস্থার অবনতি দেখে তাঁকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেন চিকিৎসকেরা।
নিহতের ভাই শাহআলম বলেন, তাঁদের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার পালং উপজেলার ছোট বিনদপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবুল হাসেম ব্যাপারী। তিন ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি। পরিবার গ্রামে থাকলেও তিনি জিঞ্জিরাতে থাকতেন।