রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেডের ৩ নম্বর রোডে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি)। এই প্রতিষ্ঠান অনাথ ও পথশিশুদের আশ্রয় ও পড়াশোনায় সহযোগিতা করে।
গত ১ অক্টোবর মধ্যরাতে প্রতিষ্ঠানের অফিস রুমের গ্রিল কেটে প্রবেশ করে আলমারি থেকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় এক চোর। এ ঘটনায় পরদিন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আব্দুন নাসের (রোমেল) বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি চুরির মামলা করেন।
এ ঘটনায় জড়িত মো. মনির হোসেন (২৮) নামের এক পেশাদার চোরকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ। তাঁর বাড়ি কেরানীগঞ্জ উপজেলার তারানগর ইউনিয়নের পশ্চিম বাংলানগর গ্রামে। এ সময় চুরি যাওয়া ৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।
আজিমুল হক জানান, মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড ৩ নম্বরের একটি বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান রাইটস অ্যান্ড সাইট ফর চিলড্রেন (আরএসসি)।
প্রতিষ্ঠানটি অসহায় ও পথশিশুদের আশ্রয়, পড়াশোনা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করছে। এই প্রতিষ্ঠানের অফিসের গ্রিল কেটে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় চোর। পরে তদন্তে নেমে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার তারানাগর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৭ লাখ ৮৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আজিমুল হক আরও জানান, মনির বিপুল পরিমাণ টাকা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর এই টাকা দিয়ে জুয়া খেলে অনেক টাকা নষ্ট করেছে। কিছু টাকা নেশার পেছনে খরচ করেছে। এ ছাড়া স্থানীয় দরিদ্র মানুষের মধ্যে দান করেছে।
মনির পেশাদার চোর উল্লেখ করে ডিসি তেজগাঁও বলেন, মনির দেখতে ভোলাভালা ভবঘুরে টাইপের। তবে তাঁর এই চেহারার আড়ালে সে দুর্ধর্ষ এক চোর। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া চার-পাঁচটি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁর নাম পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অন্তত অর্ধশতাধিক চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন মনির।
গ্রেপ্তার আসামিকে মোহাম্মদপুর থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে আনা হবে। এরপর খোয়া যাওয়া বাকি ৫ লাখ টাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।