ফগলাইটের পরিবর্তে সার্চলাইট সরবরাহ করে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় জামিন পেলেন না মেসার্স জনি করপোরেশনের ওমর আলী।
বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার তাঁর জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন।
জানা যায়, ফগলাইটের পরিবর্তে সার্চলাইট সরবরাহ করে ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় ওমর আলী ছাড়াও বিআইডব্লিউটিসির ক্যাপ্টেন শওকত সরদার, ডা. জ্ঞান রঞ্জন শীল, পঙ্কজ কুমর পাল, নুরুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার মো. রহমত উল্লাহ ও ইঞ্জিনিয়ার মো. নাসির উদ্দিনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন ওমর আলী। তবে তা নাকচ করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করলে গত ১২ এপ্রিল তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে বিচারিক আদালতে জামিন না পেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ওমর আলী।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মমতাজ উদ্দিন ফকির। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন শাহীন আহমেদ।
শাহীন বলেন, ‘বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সঙ্গে মেসার্স জনি করপোরেশনের চুক্তি ছিল ফগলাইট সরবরাহের। কিন্তু তারা প্রতারণা করে সার্চলাইট সরবরাহ করে। যার ফলে ওই মামলা করে দুদক।’