নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে মাটি খুঁড়ে মানসুরা (২৮) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় নিহতের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাত ১টার দিক উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের গাজীপুরা গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মানসুরা আক্তার একই উপজেলার রামচন্দ্রদী গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে। গ্রেপ্তাররা হলেন—স্বামী আশরাফ (৩৫) ও শাশুড়ি সেলিনা বেগম (৫৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব। নিহতে
র স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান, স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই আগে একটি বিয়ে করেছিলেন। সেই বিয়ে বিচ্ছেদ হলে তাঁরা নতুন করে সংসার শুরু করেন। তাঁদের সংসারে দেড় বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিছুদিন ধরে তাঁদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে নিহত গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলাও করেছিলেন। গত
১০ জুলাই থেকে নিখোঁজ ছিলেন মানসুরা। তাঁর বাবা এই ঘটনা পুলিশকে জানান। পরে পুলিশ মানসুরার স্বামী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। একপর্যায়ে উভয়েই হত্যার দায় স্বীকার করে লাশটি মাটিচাপা দিয়ে রাখার কথা জানান। পরে আশরাফের বাড়ির পাশ থেকে নির্জন ঝোপের ভেতর মাটি খুঁড়ে মানসুরার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি তৈয়ব বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ছয়-সাত দিন আগে শ্বাসরোধে ওই নারীকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন আসামিরা। হত্যার পর মানসুরার লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখে। রাতে লাশটি উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আজ দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।