নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শুটিংয়ের কথা বলে চুক্তিতে এনে এক তরুণীকে (১৮) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে দল বেধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জামাল হোসেন নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মনখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী জানান, তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলায়। বর্তমানে তিনি রাজধানীর আবদুল্লাহপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি টিকটকে অভিনয় করছেন নিয়মিত। সেই সুবাদে সালাম নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচারের জন্য স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাতে অভিনয় করার প্রস্তাব দেয় চ্যানেলটির মালিক সালাম। প্রস্তাবে রাজি হলে প্রথমে তাঁকে পূর্বাচলে শুটিং হবে বলে জানানো হয়। পরে ফোনে ঠিকানা পরিবর্তন করে তাঁকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শুটিং হবে বলে জানায় অভিযুক্তরা। ওই তরুণী ঠিকানামতো রাত ৮টার দিকে ব্রাক্ষ্মনখালী হাবিবনগর এলাকায় উপজেলার এইচ আর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গেলে প্রতিষ্ঠানটির কেয়ারটেকার জামাল হোসেন তাঁকে বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলার একটি বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে যায়।
সেখানে আগে থেকে বসা ছিল ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজের গাড়ি চালক আবু হানিফ ও হারেজের ভাতিজা আবু সাঈদের ছেলে আয়নাল হক। সেখানে ওই তরুণী শুটিংয়ের কোনো আলামত দেখতে না পেয়ে চলে যেতে চাইলে তাঁরা তরুণীর মুখ বেঁধে রুমে তালাবন্ধ করে রাখে। পরে রাত ১০টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত অভিযুক্তরা তাঁকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সেখানেই ফেলে রেখে যায়। রাত সাড়ে ৩টার দিকে কেয়ারটেকার জামাল এই তরুণীকে বের করে দেন। ছাড়া পেয়ে ওই তরুণী ৯৯৯ এ ফোন করলে ভোলাবো ফাঁড়ি পুলিশ ও রূপগঞ্জ থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করেন এবং জামাল হোসেনকে আটক করেন। এ ঘটনায় সে তরুণী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এএফএম সায়েদ বলেন, পুলিশের রাষ্ট্রীয় জরুরি পরিষেবা-৯৯৯ এ বার্তা পেয়ে আমরা ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করি। এ ব্যাপারে সে তরুণী বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেছেন। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।