কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় শিক্ষক মো. টুটন মিয়াকে কোপানোর ঘটনায় অভিযুক্ত বখাটে ঝুটন মিয়াকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) বিকেলে পার্শ্ববর্তী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঝুটন মিয়া অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলাপাড়া গ্রামের পলাশ মিয়ার ছেলে।
আহত শিক্ষক মো. টুটন মিয়া অষ্টগ্রাম ফকির হাটির মৃত মো. রশিদ মিয়ার ছেলে। তিনি অষ্টগ্রামের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ স্কুল অ্যান্ড কলেজের খণ্ডকালীন শিক্ষক।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অষ্টগ্রামের একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক মো. টুটন মিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে তাঁর ভাই মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। একমাত্র আসামি ঝুটন মিয়া।
ওসি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানা-পুলিশের একটি টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঝুটন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ধ্যার পর তাঁকে অষ্টগ্রাম থানায় আনা হয়েছে।
স্কুলশিক্ষক মো. টুটন মিয়া একটি কোচিং সেন্টার পরিচালনা করেন। কোচিং সেন্টারটিতে প্রায় দুইশ ছাত্র–ছাত্রী রয়েছে।
কোচিং সেন্টারে আসা-যাওয়ার পথে বখাটে ঝুটন মিয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে টুটন মিয়া বখাটে ঝুটনকে নিষেধ করেন। এতে ঝুটন ক্ষুব্ধ হন।
গত মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সকালে টুটন মিয়া অষ্টগ্রাম উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলাপাড়া গ্রামের আরিফ মাস্টারের বাড়ি থেকে ফেরার সময় বাড়ির সামনের রাস্তায় ঝুটন মিয়া ধারালো দা নিয়ে চড়াও হন। উপর্যুপরি কুপিয়ে টুটন মিয়াকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যান।
স্থানীয়রা টুটন মিয়াকে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে বাজিতপুরের জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন।