টাঙ্গাইলের সখীপুরে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে গৌরাঙ্গ সরকার (৫০) নামের এক প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গৌরাঙ্গ সরকার।
পুলিশ ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার কয়েক দিন আগে ছুটির পর প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার ওই শিশুকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটিকে তিনি যৌন হয়রানি করেন। ওই দিনের পর থেকে শিশুটি বিদ্যালয়ে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় পরিবারের লোকজন শিশুটিকে চাপ দিতে থাকেন।
একপর্যায়ে গত সোমবার শিশুটি পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। এ নিয়ে পরিবারের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে আজ বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির চাচা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করেন। এরপর প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকারকে আটক করে পুলিশ।
শিশুটির চাচা বলেন, ‘শিক্ষক হলেন বাপের মতো। তাঁর কাছ থেকে এমন আচরণ মানবার পারি নাই। তাই থানায় আইসা মামলা দিছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, ‘আমি ওই ছাত্রীর সঙ্গে এ ধরনের কোনো আচরণ করিনি। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ মেয়েটি দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয় যাচ্ছে না কেন এমন প্রশ্নের জবাবে গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, ‘বর্ষাকাল, তাই নৌকা নিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। আমরা ধারণা করেছি, এ কারণেই হয়তো সে বিদ্যালয়ে আসছে না।’
এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।’