ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক যাত্রীর বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ট্রেন সিল্কসিটি এক্সপ্রেসে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে ওই শিক্ষার্থীকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখান থেকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি আছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর নাম মিরহাজুল ইসলাম শিবলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফর্ম স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষ ও শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
শিবলী জানান, ট্রেনে ব্যাগ রাখাকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটির হয় এক যাত্রীর সঙ্গে। পরে সেটা মিটেও যায়। এরপরও তাঁকে ট্রেন থেকে ধাক্কা দেন ওই যাত্রী। ধাক্কায় তিনি পাথরের ওপর পড়ে গুরুতর আঘাত পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করায়। সেখানে তাঁর মাথায় ১২টি সেলাই দেওয়া হয়।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মিরহাজুল ইসলাম শিবলী বলেন, ‘ট্রেনে সিট না থাকায় আমি স্ট্যান্ড টিকিট নিয়ে পাবনা থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা হই। তখন ব্যাগ রাখা নিয়ে এক যাত্রীর সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়, পরে সেটা মিটেও যায়। কিন্তু কালিয়াকৈর এলাকায় আসতে তিনি আমাকে ধাক্কা মারেন। আমি পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে যাই। আমার জ্ঞান ফিরে আসলে ৯৯৯–এ কল দিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ এসে কালিয়াকৈরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। আমি ঘটনার যথাযথ বিচার চাই। এতটা অমানুষিক আচরণ কেন আমার সঙ্গে করা হলো? আমি তাঁর উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি।’
এ দিকে শিবলীকে ধাক্কা মেরে আহত করা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়েছেন তাঁর সহপাঠী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান জানান, ‘এ রকম ঘটনা অমানবিক। বিষয়টি দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। পাশাপাশি আহত শিক্ষার্থীর সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখা হচ্ছে।’