মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে জুলহাস হাওলাদার নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় পদ্মা সেতু প্রকল্পে নিয়োজিত ৯ নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে প্রকল্পের কর্মীরা চোর সন্দেহে ওই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেন।
নিহত জুলহাস হাওলাদার উপজেলার কুমারভোগ পদ্মা সেতু পুনর্বাসন কেন্দ্রে থাকতেন। পেশায় তিনি অটোরিকশার চালক ছিলেন।
আটককৃতরা হলেন-সেলিম, রাব্বি, তপু, আল-আমিন, আরিফ, আব্দুল মান্নান, ইস্রাফিল, রুবেল ও সুশান্ত।
জুলহাসের বোন শাহানা বলেন, আমার ভাই সেতুর প্রকল্পের ভেতর কেন গেছে তা জানি না। আমরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জুলহাসকে কেউ ফেলে রেখেছে। সেখান থেকে আমরা ভাইকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন সে মারা গেছে। আমার ভাই নাকি চুরি করেছে এমনটি বলছেন প্রকল্পের নিরাপত্তাকর্মীরা।
শাহানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমার ভাই চোর না। সে অটোরিকশা চালায়। আর চুরি করলেই কি কাউকে পিটিয়ে হত্যা করতে হবে?
লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বাড়ির কাছে মাওয়া চৌরাস্তা এলাকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের ভেতর গেলে জুলহাসকে চোর সন্দেহে আটক করে নিরাপত্তাকর্মীরা। সে সময় ১০ থেকে ১২ কর্মী মিলে তাঁকে রড দিয়ে পেটায়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাঁকে উদ্ধার করে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জুলহাসকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীনগর-লৌহজং সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতুর এফ-ফোর পিলারের নিচে জুলহাসকে পেটায় নিরাপত্তাকর্মীরা। এতে জুলহাসের মৃত্যু হয়। ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন স্থান থেকে ওই ৯ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।