হোম > অপরাধ > ঢাকা

আন্তজেলা ডাকাত নেতা ইছার টার্গেট বড় ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার রায়েরবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা ডাকাত দলের নেতাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের নেতা ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইছা খাঁ ওরফে রাজ্জাক (৩৪), সৈয়দ জসিম উদ্দিন (৫০) ও নুর ইসলাম (২৮)। অভিযানে তাঁদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি একনলা বন্দুক, গুলি, দেশীয় ধারালো অস্ত্র, পাঁচটি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। 

র‍্যাব বলছে, ঢাকা, চাঁদপুর, পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করেন ইছা ডাকাত ও তাঁর দলের সদস্যরা। তাঁরা বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি করতেন। 

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১০ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন। তিনি জানান, আন্তজেলা ডাকাত দলটির নেতৃত্ব দেন ইছা খাঁ ওরফে রাজ্জাক। তাঁরা গত এক মাসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, পটুয়াখালী ও কুড়িগ্রামে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান সম্পদ ডাকাতি করেছেন। এ ছাড়া তাঁরা বড় ব্যবসায়ীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করতেন। ডাকাতির কাজে কেউ বাধা দিলে বা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করে আহত ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটাত। এই দলটি দেশের বিভিন্ন স্থানে মাসে অন্তত তিনটি ডাকাতি করে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। 

র‍্যাব-১০ অধিনায়ক আরও জানান, দলটি ডাকাতির আগে স্থান নির্ধারণ করে রেকি করত। তারপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতি করত।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘ডাকাত সর্দার ইছা খাঁ ওরফে রাজ্জাক কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। সে বিভিন্ন পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ডাকাত দল চালিয়ে আসছে। ডাকাতির আগে দলের সব সদস্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে উপস্থিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণ করত। পরে দেশের বিভিন্ন এলাকার বড় বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিদেশ থেকে আগত প্রবাসীদের বাড়িতে এবং বিভিন্ন মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ডাকাতি করে আসছিল। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট চারটি মামলা রয়েছে।

‘গ্রেপ্তার জসিম বরগুনা জেলার বাসিন্দা। সে অন্য পেশার আড়ালে ডাকাত দলের তথ্য সংগ্রহকারী ও দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করত। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলাসহ মোট পাঁচটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ২০১৩ সালের মগবাজারের চাঞ্চল্যকর বিদেশির বাড়িতে ডাকাতির সময় কেয়ারটেকার হত্যা মামলার আসামি। গ্রেপ্তার আরেক আসামি নুর ইসলামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। অন্য পেশার আড়ালে ডাকাতির সমস্ত পরিকল্পনা করা হতো এবং ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সকল অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি তার দায়িত্বে গোপন আস্তানায় রাখা হতো।’ 

গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা আদায়ের প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানান র‍্যাবের এ কর্মকর্তা।

হাদি সিঙ্গাপুরে, হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিরা অজানা

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ট্রাফিক পুলিশকে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এতিম শিশুদের দোয়া

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের পুনরাবৃত্তি

কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

জবি ভিসির ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আস-সুন্নাহর মেধাবী প্রজেক্টের শিক্ষার্থীরা

আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে প্রতারণা: মেইন স্টেজের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আনিস আলমগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেল পুলিশ