করোনায় রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সব নাগরিক যখন পর্যুদস্ত, তখন সেবার দায়িত্ব নিয়ে ডা. সাবরিনা ও তাঁর সহযোগীরা অবৈধ লাভের আশায় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে করোনা পরীক্ষায় মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনাসহ আটজনের বিরুদ্ধে কারাদণ্ডের রায় ঘোষণাকালে এসব কথা বলেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন।
রায়ে বিচারক বলেন, ‘কোভিড-১৯ আগমনের পর রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিক পর্যুদস্ত ছিল। ওই সময় করোনা পরীক্ষার জন্য জেকেজি হেলথ কেয়ার দায়িত্ব নেয়। দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র দুই মাস আগে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার জন্য প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে করোনা পরীক্ষার মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন আসামিরা। তাই আসামিদের সমবেদনা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
বিচারক আরও বলেন, করোনার ভুয়া পরীক্ষার ঘটনায় আসামিরা সবাই একইভাবে অপরাধ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০ (প্রতারণা), ৪৬৬ (জালিয়াতি) ও ৪৭১ ধারার (জাল দলিল জেনেও প্রকৃত দলিল হিসেবে উপস্থাপন করা) অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।