সরকারি চাল কালোবাজারি চক্রের ১০ সদস্যকে আটক করেছে বাড্ডা থানা-পুলিশ। রোববার (৩১ মার্চ) রাতে বাড্ডার মেরুল কাঁচাবাজার সংলগ্ন ইখতিয়ারের সেমি পাকা ঘরে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৯ হাজার কেজি সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগোযুক্ত বস্তা থেকে নুরজাহান ব্র্যান্ড নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ভরা হচ্ছিল। এ সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে ১০ জনকে আটক করা হয়।
আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সরকারি চাল কালোবাজারির মাধ্যমে কিনে বস্তা পরিবর্তন করে অন্য লোগো লাগিয়ে বাজারে বিক্রি করে আসছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) রাজন কুমার সাহা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাড্ডা পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই নাদিম মাহমুদ জানতে পারেন যে, ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি সরকারি চালের বস্তা পরিবর্তন করে ব্যক্তি মালিকানাধীন কোম্পানির লোগো যুক্ত বস্তায় ভর্তি করে বিক্রির প্রক্রিয়া করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়।
তিনি বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো সংবলিত বস্তাগুলো খুলে সেখানে থাকা চাল নুরজাহান ব্র্যান্ড নামক কোম্পানির প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে বাজারজাতের প্রক্রিয়া করা হচ্ছিল। সেখান থেকে ১৮ হাজার ৯৮০ কেজি সরকারি চাল উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে খাদ্য অধিদপ্তরের লোগো যুক্ত প্রতিটি ৩০ কেজি ওজনের বস্তা ছিল ৯৬ টি।
নুরজাহান ব্রান্ডের প্রতিটি ৫০ কেজির ৩০৬টি বস্তায় চালগুলো ভরা হয়। অভিযানের সময় ঘরের মেঝেতে খোলা অবস্থায় প্রায় ৮০০ কেজি চাল পাওয়া যায়।
এসব ঘটনার হোতা আমিনুল ইসলামের ম্যানেজারসহ সর্বমোট ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।