নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় হেফাজত ইসলামের সাবেক নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এই সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
মামলায় এ নিয়ে ২০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সাক্ষ্য দেন সোনারগাঁ থানার সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক এজাজুল হক ও মামুনুল হকের দাবি করা স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার বাসার মালিক মোশাররফ হোসেন। একই দিন ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান ও সাবলেট বাসার ভাড়াটিয়া সালমা খানের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা থাকলেও তারা আসেননি।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৬ জুন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় মাওলানা মামুনুল হককে আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পুনরায় তাকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় মানুষের ভিড় জমে। পাশাপাশি পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
একই বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যারা সাক্ষী দিয়েছেন তারা বলেছেন মামুনুল হক এই ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। ভুক্তভোগী নারীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করেছিলেন তিনি। আজ দুজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরার সঙ্গে অবস্থান করার সময় স্থানীয়রা তাকে ঘেরাও করে। খবর পেয়ে হেফাজত নেতা কর্মীরা রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে মামুনুল হককে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩০ এপ্রিল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগ আনেন ওই নারী। যদিও তাকে দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করেছিলেন তিনি। ওই বছরের ৩ নভেম্বর ধর্ষণ মামলার বিচারকাজ শুরু হলে ২৪ নভেম্বর মামুনুল হকের উপস্থিতিতে আদালতে সাক্ষ্য দেন জান্নাত আরা ঝর্ণা।