মাদারীপুর জেলার শিবচরে সাবেক স্বামীর নিক্ষেপ করা অ্যাসিডে ঝলসে যাওয়া সাদিয়া (২৪) মারা গেছেন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, সন্ধ্যায় সাদিয়ার স্বজনেরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।
প্রায় ৪ বছর আগে প্রেমের সম্পর্কে শিবচর উপজেলার মাদবরের চর এলাকার বাসিন্দা ও স্পিডবোট চালক সুমন শিকদারের সঙ্গে সাদিয়া আক্তারের বিয়ে হয়। সাদিয়া একই এলাকার লিটু হাওলাদারের মেয়ে। তাঁদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর সুমন কাজের প্রতি অনীহা ও মাদকসেবী হয়ে পড়ায় সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। একপর্যায়ে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এরপর সাদিয়ার অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়। এ কথা জানতে পেরে সুমন ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ আগস্ট রাত ১০টার দিকে সাদিয়ার মুখে অ্যাসিড ছোড়েন। অ্যাসিডে সাদিয়ার মাথা, মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। সেদিন থেকেই ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন সাদিয়া।
এই ঘটনার পরদিন সাদিয়ার বোন তাছলিমা আক্তার বাদী হয়ে শিবচর থানায় সুমনসহ পাঁচজনের নামে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় গত ২৪ আগস্ট রাতে অভিযুক্ত সুমন শিকদারকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরচর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মাদারীপুর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় অ্যাসিড দগ্ধ সাদিয়া শনিবার দুপুরে মারা গেছেন। সন্ধ্যায় তাঁর মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে।