কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মা কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাঁর ৪ বছরের এক শিশুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত শিশুটির নাম নদী। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে পৌর শহরের পলতাকান্দা গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সোহেল মিয়া নামে একজন অভিযুক্তকে আটক করেছে। আজ বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃত সোহেল পলতাকান্দা গ্রামের মৃত মজিদ মিয়ার ছেলে।
নিহত শিশুটির বাবা জাকির হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা বলছে, গত মাসে তাঁরা শহরের পলতাকান্দা গ্রামে সোহেলের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস শুরু করেন। নিহত নদী তাঁদের একমাত্র সন্তান। গত কয়েক দিন ধরে সোহেল নদীর মাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। তাঁর প্রস্তাবে নদীর মা সাড়া না দেওয়ায় প্রায়ই সোহেল নদীকে উত্ত্যক্ত করত এবং হত্যার হুমকি দিত। গত মঙ্গলবার রাতেও নদীর মাকে কু-প্রস্তাব দেন সোহেল। এতে তিনি ব্যর্থ হয়ে রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে নদীকে মুড়ি খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় নদীর মা তাঁর পিছু পিছু গিয়ে মেয়েকে খুঁজে না পেয়ে, এলাকার মসজিদের মাইকে ও আত্নীয়-স্বজনের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করা শুরু করেন। কোথাও নদীকে না পেয়ে অবশেষে রাত ১২টার দিকে ভৈরব থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ রাত সাড়ে ১২টার দিকে পলতাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্ব পাশের একটি ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানার ঝোপ থেকে নদীর মরদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে খবর পেয়ে ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেজুয়ান দিপু ও ভৈরব থানার ওসি মো. গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বুধবার সকালে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ প্রসঙ্গে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. তারিকুল আলম জুয়েল বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে শিশুটির গলায় গামছা বা কাপড় জাতীয় কিছু পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট হাতে পেলে কীভাবে মারা গেছে তার আসল কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেল মিয়া নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।’