খেলোয়াড়েদের প্রভাবিত করা এবং উসকানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসামের ৪ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে অমিত সিনহা, ইশান আহমেদ, আমন ত্রিপাঠি ও অভিষেক ঠাকুরিকে বরখাস্ত করেছে আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। এরা সবাই আপাতত সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে থাকবেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। অভিযুক্ত চারজনই বিভিন্ন সময় আসামের হয়ে খেলেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফির চলমান আসরে কয়েকজন ক্রিকেটারকে টাকার বিনিময়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন ওই চারজন। অভিযোগ সামনে আসার পর নিষিদ্ধের পাশাপাশি পুলিশের অপরাধ বিভাগে তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে এসিএ। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতিবিরোধী ও নিরাপত্তা ইউনিট।
সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে আসামের লিগ পর্বের ম্যাচগুলো হয়েছে ২৬ নভেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সবগুলো ম্যাচ হয়েছে লখনৌতে। এবারের মৌসুমে দলটি সুপার লিগে জায়গা করে নিতে পারে কিনা সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। নিষিদ্ধ হওয়া ওই চারজনকে সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে দূরে রাখতে সব জেলা অ্যাসোসিয়েশনকে নির্দেশ দিয়েছে আসাম ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
এ বিষয়ে এসিএ সেক্রেটারি সনাতন দাস বলেন, ‘অভিযোগ সামনে আসার পর বিসিসিআইয়ের অ্যান্টি-করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট বিষয়টি তদন্ত করে। পাশাপাশি আসাম ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনও ফৌজদারি কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে চার ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গুরুতর অসদাচরণের প্রমাণ মিলেছে, যা ক্রিকেটের সততা ও স্বচ্ছতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।’
ফিক্সিং রোধে বরাবরই বেশ সচেতন বিসিসিআই। ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ফিক্সিং আগে থেকেই অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত ছিল। গত অক্টোবরে সেটাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করতে আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারতীয় ক্রিকেটের শীর্ষ সংস্থাটি। তারই ধারাবাহিকতায় ফিক্সিং নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলোও।