চট্টগ্রামে পঞ্চাশোর্ধ্ব এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে আদালত এক আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আসামির এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক জামিউল হায়দার এ রায় দেন।
এ মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. জসিম উদ্দিন ওরফে বাপ্পী কারাগারে আছেন।
মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আবদুল মোতালেব ও সারোয়ার নামের দুই আসামি মারা যাওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় শরীফ ও আইয়ুব খান নামের দুজনকে খালাস দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের পিপি নিখিল কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলায় একজন আসামির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হয়েছে। দুজন মারা গেছেন। আর দুজন খালাস পেয়েছেন।
নিহতের মেয়ে বলেন, ‘আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। অন্য দুই আসামি খালাস পাওয়ায় আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা এলাকার একটি পাহাড়ে নিহত নারী (৫২) ধর্ষণের শিকার হন। স্বামী পরিত্যক্ত ওই নারী রান্নার জন্য কাঠ আনতে বাড়ির কাছের ওই পাহাড়ে গিয়েছিলেন। পরদিন পুলিশ তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের পর ওই নারীর ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেন। তদন্ত কর্মকর্তা পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত এ রায় দেন।