লক্ষ্মীপুরে দাঁড়িয়ে থাকা ইকোনো বাসের ভেতর থেকে সুপারভাইজার রিয়াদ হোসেন লিটনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ । আজ শনিবার ভোরে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে এই মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত লিটন সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের মোহাম্মদনগরের দুদু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ইকোনো বাস রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর আসে। পরে যাত্রীদের বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়িতে নতুন একজন হেলপার, সুপারভাইজার লিটন, পুরোনো স্টাফ শিপন ও চালক নাহিদ ছিলেন। পরে চালক ও পুরোনো স্টাফ তাঁদের নতুন হেলপার ও সুপারভাইজারকে রেখে বাসায় ফিরে যান। এ সময় সুপারভাইজার ও নতুন হেলপার গাড়িতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৪টার দিকে চালক এসে গাড়ির ভেতরে সুপারভাইজার লিটনের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
এরপর চালক স্থানীয় লাইনম্যান সেলিমকে খবর দিলে পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ ঘটনার পর থেকে নতুন হেলপার পলাতক রয়েছেন। তাঁর পরিচয় জানাতে পারেননি কেউ। ঘটনার পর পুলিশ গাড়ির চালক নাহিদকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। চালক নাহিদ রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের বাসিন্দা শাহরিয়ারের ছেলে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে লিটন ইকোনোতে সুপারভাইজার পদে কর্মরত ছিলেন। প্রতিদিনের মতো ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু চালকসহ অন্যরা পরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যা করেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইকোনো গাড়ির ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড।
ওসি আরও বলেন, ‘আমরা গাড়ির চালককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’