চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডে স্ক্র্যাপ জাহাজে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা সরাসরি এজাহার হিসেবে নেওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম চতুর্থ বিচারিক হাকিম ফার্দিন মুস্তাকীম তাসিনের আদালতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সীতাকুণ্ড সিমনি শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজ শিপ ইয়ার্ডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারক এই নির্দেশনা দেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. জিয়া হাবীব আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত বাদীর অভিযোগ শুনানি শেষে আদেশটি প্রচার করেন।
আইনজীবী বলেন, গত ১৬ এপ্রিল (শনিবার) রাত আনুমানিক ১০টায় স্থানীয় চিহ্নিত ১০/১২ জনের দুর্ধর্ষ ডাকাত দল ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাদী প্রতিষ্ঠানের আমদানি করা স্ক্র্যাপ জাহাজ এশিয়ান গ্লোরির ওপর হামলা করে। বিকাশ দাস, রাসেল ও দিলিপ দাসসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এতে অংশ নেন। তাঁরা জাহাজের ৩/৪ জায়গায় কোটা লাগিয়ে রশি নিক্ষেপ করে জাহাজের ওপরে উঠে পড়েন। এ সময় জাহাজে থাকা ইনচার্জসহ অন্যান্য কর্মচারীদের মারধর করে গুরুতর আহত করেন।
পরে ডাকাত দল জাহাজের স্টোর রুমের তালা ভেঙে স্টোরে ও জাহাজের বিভিন্ন জায়গায় থাকা পিতলের বুস, গেট বাল্ব, পাম্প মেশিন, ফ্লাশ, এসএস, তামাসহ আনুমানিক সাত মেট্রিকটন মালামাল লুট করে ট্রলারে করে নিয়ে পালিয়ে যান। লুটের মালামালের আনুমানিক মূল্য ৪৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
জিয়া হাবীব বলেন, এই ঘটনায় থানা মামলা নিতে গড়িমসি করেছিল। পরে বাদী প্রতিষ্ঠান আদালতে মামলা করেন। বাদী পক্ষে আরও মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুন চৌধুরী, মো. হাসান আলী, মোহাম্মদ বদরুল হাসান, মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন আরমান প্রমুখ।