চুরি করার উদ্দেশ্যে ভোররাতে একটি গোডাউনে ঢোকেন এক চোর। দক্ষ হাতে চুরির মালামাল নিজের বস্তায়ও ভরে নেন সাবধানেই। তারপর কী এক খেয়ালে আয়েশ করে সেবন করেন ইয়াবা। নেশায় বুঁদ হয়ে সেখানেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। বিধি বাম; সকালেও সেই ঘুম ভাঙেনি। ফলে তাঁকে ধরা পড়তে হয় জনতার হাতে। এক রাত থানা হাজতে থাকার পর আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায়। ধরা পড়া চোরের নাম মো. ফোরকান (১৯)। তিনি পার্শ্ববর্তী পারুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুস সালামের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে হাতেনাতে ধরার পর দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জেলহাজতে।
গোডাউনের মালিক মো. আলম বলেন, `গোডাউনে আমার কিছু ব্যবসার মালামাল ও যন্ত্রাংশ রয়েছে। এ ছাড়া পল্লি বিদ্যুতের কর্মীদের গাড়ি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের গাড়ি রাখা হয়। গতকাল সকালে গোডাউনে এসে দেখি বাইরে থেকে দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে দেখি একটা থলের ভেতরে কিছু যন্ত্রাংশ ঢোকানো। ওটা দেখেই বুঝতে পারি চোর ঢুকেছে। পরে দেখি গোডাউনের এক পাশে একজন শুয়ে আছে। তার ঘুম ভাঙার আগেই লোকজন ডেকে এনে তাঁকে আটক করি।'
মো. আলম বলেন, আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে তিনি চুরি করতে ঢোকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘জিনিসপত্র বস্তায় ঢুকিয়ে মানিব্যাগে থাকা ইয়াবা খাই। কখন ঘুমিয়েছি টের পাইনি।’ পরে তাঁর মানিব্যাগ খুঁজে মাদক সেবনের বিভিন্ন সরঞ্জাম পাওয়া যায়।
বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানানোর পর তিনি গ্রামপুলিশ দিয়ে তাঁকে ধরিয়ে দেন। পরে তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে লালানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মীর তৌহিদুল ইসলাম কাঞ্চন বলেন, ‘সে সম্ভবত চুরির উদ্দেশ্যে রাতে গোডাউনে প্রবেশ করেছে। কিন্তু সেখান থেকে বের হতে না পেরে সকালে সে ধরা পড়ে। এলাকাবাসী বিষয়টি আমাকে জানানোর পর তাঁকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।’
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিল্কী বলেন, `আমরা খবর পেয়ে তাকে থানায় নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আজ শুক্রবার সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগেও চুরির অপরাধে তাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।'