দক্ষিণ আফ্রিকায় রাসেল (৪০) নামে এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই ব্যবসায়ী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার দক্ষিণ মোহাম্মদপুর আনিস ভুইয়া বাড়ির মৃত ধনু মুন্সীর ছেলে।
রাসেল তাঁর তিন ভাই রুমেল, ফয়সাল ও মাহফুজসহ দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লার্কডরপ এলাকায় বসবাস করছেন। তাঁদের ৪/৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ২০১৫ সালে দেশে এসে বিয়ে করেন। ২০১৬ সালে স্ত্রীকে নিয়ে যান দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
রাসেলের স্ত্রী আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় টেলিফোনে আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে জানান, তাঁর স্বামী রাসেল ক্লার্কডরপ নামক স্থানে অক্টোবর মাসে ভারতীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে একটি দোকান বিক্রি করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪০ লাখ টাকায় দোকানটি বিক্রির চুক্তি হয়। আড়াই লাখ টাকায় বায়না চুক্তির পর আর কোনো টাকা দেননি ওই ব্যবসায়ী। গত মঙ্গলবার ভারতীয় ওই নাগরিক রাসেলকে টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নেন তাঁর বাসায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ। রাসেলের তিন ভাই আফ্রিকার পুলিশের কাছে ভাই নিখোঁজের অভিযোগ দিয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ক্লার্কডরপ এলাকার পুলিশ একটি ডাস্টবিন থেকে রাসেলের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহে এরই মধ্যে পচন ধরেছে।
রাসেলের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘পাওনা টাকা না দিয়ে পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।’
এ ব্যাপারে রাসেলের ভাই হিমেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাড়ে ৩৭ লাখ টাকা না দিয়ে রাসেলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজ বাদ আছর ক্লার্কডরপে জানাজা শেষে লাশ দাফন করা হয়েছে।’