হোম > অপরাধ > চট্টগ্রাম

যেভাবে বেরিয়ে এল মিতু হত্যার রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: ডাকসাইটে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন বাবুল আক্তার। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় জঙ্গি দমনে বেশকিছু আলোচিত অভিযান পরিচালিত হয় তাঁর নেতৃত্বে। সাহসিকতার জন্য পান বেশ কয়েকটি স্বীকৃতি।

২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে ছেলেকে স্কুলবাসে দেওয়ার সময় খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। তাঁকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। সিসিটিভি ক্যামেরায় পাওয়া সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজে একজনের কর্মকাণ্ড ও চেহারা পরিষ্কার দেখা গিয়েছিল। পরে তাকে কামরুল ইসলাম মুছা নামে শনাক্ত করা হয়।

ঘটনার পাঁচ বছর পরেও মেলেনি তার খোঁজ। মুছার স্ত্রী পান্না আক্তারের অভিযোগ, ওই বছরের ২২ জুন বন্দর এলাকার বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ।

একটি ফোন রেকর্ড

মিতু খুন হওয়ার মিনিট দশেকের মধ্যে মুছার ফোনে একটি কল আসে। ২৭ সেকেন্ডের কথোপকথনের মূল কথা ছিল, 'তুই কোপালি ক্যান!' তদন্তে বেরিয়ে আসে, মুছাকে ফোন করেছিলেন বাবুল আক্তার নিজে।
কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মিতু হত্যায় বাবুলের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ ধানমণ্ডিতে পিবিআইয়ের সদরদপ্তরে সংস্থার প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার জানান, খুনের ঘটনায় মুছাকে পরিষ্কার দেখা গেলেও, তাকে না চেনার ভান করেন বাবুল আক্তার। অথচ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তিনি দীর্ঘদিনের পরিচিত। এ বিষয়টি তদন্তকারী দলের সন্দেহ জাগায়।

পিবিআই প্রধান জানান, ঘটনার পর নানা মাধ্যমে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায় যে, মুছা এক সময় বিদেশে থাকতেন। দেশে ফিরে তিনি দীর্ঘদিন বাবুলের সোর্স হিসেবে কাজ করেছেন। তার বাসায় নিয়মিত যাতায়াত ছিল মুছার। বাবুলের ঘরের বাজারও করে দিতেন তিনি।

পাঁচ বছরেও মুছার খোঁজ না মেলা ও তার অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে পিবিআই প্রধান কুমার মজুমদার বলেন, আমরা তার ব্যাপারে নিশ্চিত নই। তদন্ত চলছে। জীবিত আছেন কি না, খোঁজ করা হচ্ছে।

এর পাশাপাশি নড়াইল থেকে কাজী আল মামুন ও ঢাকা থেকে সাইফুল হক নামে বাবুলের দুজন বন্ধুকে গত সোম ও মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ডাকে পিবিআই। দুজনকে মুখোমুখি করা হয় বাবুল আক্তারের। সেখানেই সামনে আসে মিতু খুনের অনেক তথ্য। দুজনই চট্টগ্রামে পাঁচলাইশ থানায় দায়ের করা মামলায় সাক্ষী হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এই মামলায় বাদী বাবুল আক্তার।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাহাড়তলী এলাকায় পিবিআই মেট্রো অঞ্চলের কার্যালয়ে অনেক রাত অবধি বাবুলকে পিবিআই অফিসে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পর রাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর আসে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে।

আরও পড়ুন: 

চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশন ও মিডিয়া ভবনে নিরাপত্তা জোরদার

বান্দরবানে সাবেক পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুরের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

সীতাকুণ্ডে কাভার্ড ভ্যানের চাপায় ব্যবসায়ী নিহত

গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার থানায় সেলফি: অব্যাহতির খবর পেয়ে কনস্টেবল অসুস্থ

চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, আটক ১২

হান্নান মাসউদকে ফেসবুকে হুমকি

হাদির মৃত্যুর খবরে নওফেলের বাসায় অগ্নিসংযোগ, ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ

বাহিনী নির্মূলে প্রয়োজনে চরমপন্থা অবলম্বন করতেও দ্বিধা করব না: সিএমপি কমিশনার

বিএনপির প্রার্থীকে জামায়াত মনোনীত উল্লেখ নির্বাচন কর্মকর্তার ছকে

ঘুমে পুলিশ, থানায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতার সেলফি