সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম): সীতাকুণ্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাছে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছেন, বংশানুক্রমে ডাকাতি করেই তাঁরা সংসার চালান। এ ছাড়া তাঁদের আর কোনো পেশা নেই।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কাশেম জুট মিলস এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. রাসেল (২৫), একই ইউনিয়নের শীতলপুর গ্রামের মঞ্জুর আলমের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২২), বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের দক্ষিণ মাহমুদাবাদ গ্রামের কবির মিস্ত্রির ছেলে মো. ইব্রাহিম (২০) এবং একই গ্রামের জানে আলমের ছেলে মো. জিসান (২০)।
এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুরে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সীতাকুণ্ড মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাবীবুর রহমান কুমিরা এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে দায়িত্বরত ছিলেন। এ সময় তিনি গোপন সূত্রে খবর পান, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পিএইচপি কারখানাসংলগ্ন এলাকায় একদল ডাকাত অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পরিবহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছে। খবর পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। ডাকাত দল পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত অস্ত্রসহ চারজন গ্রেপ্তার হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি ধারালো ছোরা, লোহার রড, একটি কালো পাইপ ও একটি টর্চলাইট উদ্ধার করা হয়।
থানায় আনার পর ডাকাতেরা পালিয়ে যাওয়া কয়েকজন সঙ্গীর নাম প্রকাশ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানান, তারা একেবারে পেশাদার ডাকাত। ডাকাতি ছাড়া আর কোনো পেশা নেই তাঁদের। বংশানুক্রমে ডাকাতি করেই সংসার চালান তাঁরা।
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় আজ থানায় মামলা (মামলা নম্বর ৩৩) দায়ের হয়েছে। এতে সুনির্দিষ্ট ছয় আসামিসহ অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।