নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নিজসেনবাগ গ্রামে এক বাড়িতে গিয়ে টাকা দাবি করায় তৃতীয় লিঙ্গের এক ব্যক্তির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার সকালে থানায় গিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান এই সম্প্রদায়ের লোকেরা। পরে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার দুপুরে নিজসেনবা গ্রামের মধ্যপাড়া রাজ্জাক পুলিশের বাড়িতে যান চুমকি (২৫) ও সোহাগি নামে দুই তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি। ওই বাড়ির জহিরুল ইসলাম নয়নের শিশুর জন্ম উপলক্ষে অনুষ্ঠান চলছিল। চুমকি ও সোহাগি গিয়ে টাকা দাবি করেন।
চুমকি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত বুধবার দুপুরে আমরা জহিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে ৫০০ টাকা দাবি করলে তারা আমাদের ৩০০ টাকা দেয়। আমরা আরও ২০০ টাকা দাবি করলে তারা টাকা না দিয়ে উল্টো আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে আমি পুকুরে নেমে আগুন নেভাতে চেষ্টা করি।’
চুমকি বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
জহিরুল ইসলাম নয়ন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গত ১১ মার্চ দুপুরে তাঁদের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। গত বুধবার চুমকি ও তাঁর সহযোগী সোহাগি বাড়িতে এসে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় ওই বাড়িতে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় নারীরা তাঁদের ৪০০ টাকা দিয়ে বিদায় করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁরা ৫ হাজার টাকাই দাবি করে তর্কবিতর্ক শুরু করেন। একপর্যায়ে চুমকি ঘরের লোকজনকে ভয় দেখানোর জন্য চুলা থেকে আগুন নিয়ে নিজের শরীরের কাছে নেন। এ সময় অসাবধানতাবশত শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে বাড়ির লোকজন তাঁদের ১৫শ টাকা দিলে তাঁরা চলে যান।
সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ঘটনার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাবা জহিরুল ইসলাম, তাঁর দুই ফুফু আয়েশা বেগম ও বিবি রহিমা বেগমকে থানায় আনা হয়েছে। ঘটনায় উভয় পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’