কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের আদ্রা গ্রামে কাপড় সেলাইয়ের ১০ টাকা কম দেওয়ায় জহুরা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় আদ্রা গ্রামের সৈয়দ আলী ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত জহুরা বেগম মনোহরগঞ্জ উপজেলার মরিচা গ্রামের সাইফুলের স্ত্রী ও আদ্রা গ্রামের মফিজুর রহমানের মেয়ে।
গ্রেপ্তারকৃত রা হলেন, সফিকুর রহমানের মেয়ে সুমি আক্তার (২৬) ও সেলিনা আক্তার (২৮)।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়েক দিন আগে জহুরা বেগমের বোন খোরশেদা বেগম একটা থ্রি-পিস সেলাইয়ের জন্য চাচাতো বোন সুমির কাছে দিয়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় জহুরা ও খোরশেদা সুমির কাছ থেকে থ্রি-পিস আনতে যান। এ সময় সুমি ১০০ টাকা মজুরি দাবি করলে খোরশেদা বেগম ৯০ টাকা দেন। ১০ টাকা কম দেওয়া নিয়ে সুমির সঙ্গে খোরশেদা ও জহুরার কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সুমির বোন ছকিনা আক্তার, সেলিনা আক্তার ও বোনের জামাই জলিল মিলে জহুরা বেগমকে বেধড়ক মারধর করলে তিনি পালিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন।
জলিল সেখানে গিয়ে জহুরা বেগমের তলপেটে লাথি মারলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এলাকাবাসী চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে গুরুতর অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে নাথেরপেটুয়ার ভূঁইয়া মেডিকেল হসপিটালে নিয়ে যায়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক জহুরাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি আ স ম আবদুন নূর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ ঘটনায় জহুরা বেগমের বাবা মফিজুর রহমান বাদী হয়ে চার জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ ওই দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওসি আরও বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।