দাগনভূঞার মোমারিজপুরে মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত হোসেন হত্যা মামলায় ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকসহ তিন শিক্ষককে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মু. জাকির হোসেনের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর মধ্যে প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেনকে চার দিন এবং অপর দুই শিক্ষক নুর আলী আরাফাত ও আজিম উদ্দিন তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এ ছাড়া সহপাঠী জোহাইর আল ফায়িজকে (১১) টঙ্গী শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর জন্য ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন শিশু আদালতের বিচারক ওসমান হায়দার।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জুয়েল হোসেন গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে উপস্থাপন করে রিমান্ড চান।
গত ২২ আগস্ট দাগনভূঞার মাতুভূঞা ইউনিয়নের মোমারিজপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সীমান্তবর্তী সোনাগাজী থানার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের চরলক্ষ্মী গন্জ মরহুম হাফেজ শামসুল হক (রহ.) খানা মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিলে সে। এবং চর মজলিশপুর ইউনিয়নের ছয় আনি গ্রামের নাজের কোম্পানির বাড়ি ফানাউল্লার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আরাফাত দেড় বছর ধরে ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের আবাসিক ছাত্র হিসেবে পড়ালেখা করে আসছিল। ওই দিন রাতে তার সহপাঠী জোহাইর আল ফায়িজ হোস্টেল রুম থেকে তাকে নিচে নিয়ে মাদ্রাসা সংলগ্ন ডোবাতে ফেলে ডুবিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা ফানা উল্লাহ বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, দুই সহকারী শিক্ষক ও সহপাঠীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।