ঢাকা: মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা মিলেছে। তবে মিতু হত্যা মামলায় বাদী হওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পিবিআইয়ের উপ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার।
এদিকে মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নতুন মামলা করার জন্য চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় অবস্থান করছেন তার বাবা মোশাররফ হোসেন।এ মামলায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করা হবে বলে জানা গেছে।
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে পিবিআই সদরদপ্তরে পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তদন্তের ভার পাওয়া পিবিআই বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করে। হত্যায় কামরুল ইসলাম মুছার চেহারা ও কর্মকাণ্ড পরিষ্কার বোঝা গেলেও তাকে না চেনার ভান করেন বাবুল। কিন্তু মুছা নিয়মিত তার বাসায় যেতেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে মুছা বাজারও করে দিতেন। এ বিষয়টিই তদন্ত কর্মকর্তাদের সন্দেহ বাড়ায়।
হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ার পরও বাবুলকে গ্রেপ্তার না দেখানোর বিষয়ে বনজ কুমার বলেন, মামলার বাদীকে ইচ্ছে করলেই গ্রেপ্তার করা যায় না। বাদীকে গ্রেপ্তার করতে হলে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দিতে হবে। এটি দাখিলের পরই নতুন মামলা করা যাবে। আর এই নতুম মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হবে বাবুল আক্তারকে।
২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিনজনকে আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। এর আগে বাবুলকে চট্টগ্রাম থেকে বদলি করে ঢাকায় পুলিশ সদরদপ্তরে এসপি (পুলিশ সুপার) পদে সংযুক্ত করা হয়।
মিতু হত্যাকাণ্ডের মোড় ঘুরতে শুরু করে ২০১৬ সালের ২৪ জুন ডিবি কার্যালয়ে বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদের পর। এসময় হত্যাকাণ্ডে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, বাবুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।