ধর্ষণের অভিযোগে মামলা থেকে রক্ষা পেতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা ছাত্রলীগের ৩ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আবু সুফিয়ান ওরফে সুজনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
সুফিয়ান উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল বাসারের ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে কোর্ট অ্যাফিডেভিট করে বিয়ে করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার রাতে সুফিয়ান একই বাড়ির দূর সম্পর্কের আত্মীয় ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানলে তাঁরা স্থানীয় মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চলে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ভুক্তভোগী শিশুর বাবা-মা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার রাতে সুফিয়ান তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করেন। আমি মৌখিক ভাবে অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক সুবর্ণচর থানার ওসি মো. জিয়াউল হককে ফোনে অভিযোগের বিষয়টি জানাই। ওসি আমাকে জানান, ভুক্তভোগী পরিবারকে থানায় পাঠিয়ে দেন। আমি সর্বাত্মক আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরী আরও বলেন, ভুক্তভোগী এবং সুফিয়ান আত্মীয়। শুনেছি বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আজ দুপুরে তাঁরা কোর্ট অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আজ সন্ধ্যা ৬টার দিকে একাধিকবার ফোন করা হলে আবু সুফিয়ানের ব্যবহৃত নম্বরটি ব্যস্ত পাওয়া যায়।
চরজব্বর থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বলেন, প্রেক্ষাপট যেটাই হোক, একটা বাল্যবিবাহ হচ্ছে বলে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ সময় ছেলে পক্ষ পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আর থানায় আসেননি বা কোনো লিখিত অভিযোগও করেননি।