হোম > অপরাধ > চট্টগ্রাম

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়েই স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা করেন কোচিং শিক্ষক, আদালতে স্বীকারোক্তি

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে স্কুলছাত্রীকে (১৪) হত্যা করেন তার সাবেক কোচিং শিক্ষক আব্দুর রহমান রনি (২৫)। হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতেই ঘরের আলমারিতে থাকা মালামাল ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখেন তিনি। 

শনিবার বিকেলে আমলি আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এমদাদের আদালতে স্বীকারোক্তি দেন আসামি আবদুর রহিম রনি। সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। 

আসামির স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার দিন আনুমানিক বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই বাসার তৃতীয় তলায় তার এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছিল রনি। স্কুলছাত্রীদের বাসার দরজার সামনে গিয়ে নক দিলে দরজা খুলে দেয় মেয়েটি। কোচিংয়ে শিক্ষক থাকায় তাকে ভেতরে বসতে বলে সে। কিছুক্ষণ তার সঙ্গে গল্প করার পর স্কুলছাত্রী রান্না ঘরে গেলে তাকে গিয়ে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে পাশে কক্ষে এনে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রনি। ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে প্রথমে মেয়েটির পরনের ওড়না দিয়ে তার হাত বাঁধে। পরে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে রনি। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যর্থ হয়ে বালিশ দিয়ে মুখ চেপে ধরলে শ্বাসরোধ হয়ে মারা যায় স্কুলছাত্রী। এসব ঘটনার সময় স্কুলছাত্রীর চিৎকারের শব্দ যেন বাইরে না আসে সে জন্য টিভিতে ফুল ভলিউম, পানির ট্যাব ও ফ্যানগুলো চালিয়ে রাখে রনি। 

পুলিশ সুপার আরও জানান, টিভিতে ক্রাইম পেট্রল দেখে হত্যার বিষয়টিকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য রান্না ঘর থেকে একটি ছোরা এনে প্রথমে স্কুলছাত্রীর দুই হাতের রগ ও পরে গলা কাটে। ঘটনাটি ডাকাতি প্রমাণ করার জন্য ঘরের আলমারিসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা জিনিসপত্র এলোমেলো করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে ঘর থেকে বের হয়ে বাসা বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায় রনি। 

দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনা রনি একা ঘটিয়েছে জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তা তদন্ত করা হচ্ছে। আর কারও জড়িত থাকার তথ্য আসলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মায়ের দায়ের করা মামলায় আবদুর রহিম রনিকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত নিহত স্কুলছাত্রীর মা রাজিয়া সুলতানা, বোন ও স্বজনরা হত্যাকারী রনির ফাঁসির দাবি করেছেন। একই সঙ্গে তাদের পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। 

এর আগে শুক্রবার বিকেলে আবদুর রহিম রনির ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সন্ধ্যায় আমলি আদালত-১ এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এমদাদ শুনানি শেষে আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুর শেষে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়। 

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে একটি বাড়ির কক্ষ থেকে ওই স্কুলশিক্ষার্থীর মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি অর্ধনগ্ন, গলা ও দুই হাতের রগ কাটা অবস্থায় বিছানায় পড়ে ছিল। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের একাধিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে ইসরাফিল (১৪), তার ভাই সাঈদ (২০), আবদুর রহিম রনি (২০) ও ইমাম হোসেনকে (৩৯) আটক করে। নিহতের মা বাদী হয়ে একাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রনি ও ইসরাফিল আলমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অপর আটক সাঈদ ও ইমাম হোসেনকে ১৫৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়।

সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ

ভোটের মাঠে যারা বাধা হবে, তাদের অস্তিত্ব থাকবে না: আমীর খসরু

কুমিল্লা-৪: হাসনাত আবদুল্লাহর সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াত প্রার্থী

পটিয়ায় বাস-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাকচালক নিহত, আহত ৪

সাতকানিয়ায় খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি

সাতকানিয়ায় বন্দুকসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ধানের শীষ পেলেন বেনজীরের ব্যবসায়িক সহযোগী জসিম

চট্টগ্রামে গিয়াস কাদেরের আসনে গোলাম আকবরকেও মনোনয়ন বিএনপির

সুষ্ঠু নির্বাচনই যথেষ্ট নয়, গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটাতে হবে: বদিউল আলম

চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কার আরোহী যুবদল নেতা নিহত