হোম > অপরাধ > চট্টগ্রাম

এসিড নিক্ষেপের মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন

আদালত প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে উত্যক্ত করায় স্ত্রীর সাবেক প্রেমিককে এসিড মারার অপরাধে আদালত এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া আসামির পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আজ রোববার চট্টগ্রাম চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূইঞা এ রায় দেন। 
 
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি সুমিত ধর ওরফে রাজু (৩০) কক্সবাজার জেলার চকরিয়া হারবাং এলাকার ধরপাড়ার দেবব্রত ধর ওরফে মুকুলের ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম নগরের আন্দরকিল্লা আশীর্বাদ ভবনের বাসিন্দা। 

একই রায়ে সুমিতের স্ত্রী মমিতা দত্ত এনিকে (২৬) আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন। 

মহানগর আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মো. নোমান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামি সুমিত জামিন নিয়ে পলাতক হওয়ায় আসামির অনুপস্থিতিতে আদালত এ রায় দিয়েছেন।’

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের রহমতগঞ্জের কুসুম কুমারী স্কুলের সামনে তমাল চন্দ্র দেকে (৩০) এসিড নিক্ষেপ করে। এতে তমালের দুই চোখ সম্পূর্ণ অন্ধ হয়ে যায়। মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যায়। 
 
পিপি আর বলেন, মমিতা ও ভুক্তভোগী তমাল দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন। দুজনের মধ্যে কিছুদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মমিতা দত্তের সঙ্গে আসামি সুমিতের বিয়ে হওয়ার পর আগের সম্পর্ক নিয়ে মমিতাকে উত্যক্ত করতে থাকেন তমাল। একপর্যায়ে সুমিতের ফেসবুক মেসেঞ্জারে তমাল ও মমিতার আপত্তিকর ছবি পাঠায়। 

তমালকে নিষেধ করার পরও তমাল মমিতাকে উত্যক্ত করতে থাকেন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে সুমিত ‘প্রজাপতির ডানা’ নামে একজন মেয়ের পরিচয়ে একটি ফেসবুক একাউন্ট খোলে তমালকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়। পরে দুজনের মধ্যে চ্যাটিংয়ের এক পর্যায়ে তমাল প্রজাপতির ডানার সঙ্গে দেখা করতে চান। ঘটনার দিন নগরের কুসুমকুমারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দেখা করতে এলে তমালকে এসিড নিক্ষে করে আসামি সুমিত। 

ঘটনার পরদিন এ ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হলে এসিড মারার ঘটনাটি সুমিতের স্ত্রী মমিতার কাছে স্বীকার করেন সুমিত। এ ঘটনায় তমালের বাবা বাবুল দে গত ২১ ফেব্রুয়ারি কোতোয়ালী থানায় সুমিত-মমিতা দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেন। আত্মগোপনে থাকা সুমিত ও মমিতাকে পুলিশ ঢাকার ভাটারা থানা এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জামিনে গিয়ে সুমিত পালিয়ে যান। 

পরে তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া দুই আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। 

আদালতের পেশকার ফুয়াদ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্য নেন। এক আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দেন।

মহাসড়কে দোকান যানজটে ভোগান্তি

ভোটের মাঠে: জয়ের সমীকরণ পাল্টে দেবে পাহাড়ি ভোটার

চাঁদপুরে হেফাজতে নির্যাতন, ৪ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

চট্টগ্রামে থার্টি ফার্স্ট নিয়ে ৬ নির্দেশনা সিএমপির

খামারে ডাকাতের হানা, অস্ত্র ঠেকিয়ে ১২ গরু লুট

চন্দনাইশে অলিপুত্রের সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের প্রার্থী

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতি অভিভাবকসুলভ নেতৃত্বকে হারাল: চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

চট্টগ্রামে সংসদ নির্বাচন: তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী নিয়ে উত্তেজনা

পেট্রোলিয়াম করপোরেশন: দেড় বছরেও চালু হয়নি ৮ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

সাঈদ আল নোমানের বিরুদ্ধে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ