দাগনভূঞায় বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে বাজারের চৌমুহনী রোডে পেট্রলপাম্পের সামনে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আকবর হোসেন হামলার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ বিএনপির বিদ্রোহী অংশকে দায়ী করেছেন।
আকবর হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিদ্যুৎ, গ্যাস, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদ এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বেলা তিনটার দিকে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আলাউদ্দিন আলাল ও তাঁর নেতৃত্বে দাগনভূঞা বাজারের চৌমুহনী রোডে অবস্থিত পেট্রলপাম্পের সামনে অবস্থান নেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে লাঠিসোঁটা হাতে আওয়ামী লীগের ২০-৩০ জন অতর্কিত হামলা চালান এবং ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি বন্ধ করে চলে যান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শামসুদ্দিন মামুন বলেন, ‘বিএনপির লোকজন নাশকতার উদ্দেশ্যে পেট্রলপাম্পের সামনে জড়ো হলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেয়। এ সময় কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম জানান, বাজারের চৌমুহনী রোডে বিএনপির অবস্থান নেওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বাধা দিতে যান। এ সময় পুলিশ সবাইকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।