চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় মাহফুজা আকতার সোনিয়া (২০) নামে এক গৃহবধূকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড নারিশ্চা বটতল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই দিন সকাল ১০টার দিকে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ নিয়ে আসে পুলিশ। পরে ওই গৃহবধূর বাবা মো. হারুন বাদী হয়ে স্বামী মো. আক্কাছ আলী, শাশুড়ি রহিমা বেগমসহ শ্বশুর বাড়ির ৪ জন সদস্যকে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
নিহত মাহফুজার পৈতৃক বাড়ি পদুয়া ইউনিয়নের দ্বারিকোপ মৌলভীরখীল এলাকায়। তাঁর মরদেহ রাত ৮টার দিকে দাফন করা হয়।
মাহফুজার বাবা মো. হারুন বলেন, ‘আমার মেয়ে মাহফুজার সাথে একই ইউনিয়নের জামাল মিয়ার ছেলে আক্কাছ আলীর সাথে ২০১৯ সালে বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জ্বালাতন করে আসছেন। মেয়ে জানিয়েছে তাঁর স্বামী আক্কাছ আলীর সাথে তাঁর বড় ভাবির পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি মাহফুজা টের পেয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁর ওপর নেমে আসে দিনের পর দিন অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের বিষয়টি একাধিকবার মাহফুজা জানিয়েছিলেন। ঘটনার জেরে আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে আমার মেয়ে মাহফুজাকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন গলাটিপে মেরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে আনার আগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।’
জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব মিলকী বলেন, সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদরের ইছাখালি হাসপাতালের সামনে থেকে মাহফুজা আকতারের স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।