হোম > অপরাধ

ড্যান্ডিতে আসক্ত শিশুরা, জড়াচ্ছে নানা অপরাধে

অরূপ রায়, সাভার

‘ট্যাকা কামাই কইরা সরকারি রাস্তায় দাঁড়াইয়া নেশা করি, তাতে আপনের কী। আপনের এত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার সময় আমাগো নাই।’ ঢাকার সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে ড্যান্ডি নেশা করার সময় নাম-পরিচয় জানতে চাইলে এভাবেই উত্তর দেয় ৭ ও ১০ বছরের দুই শিশু, যারা সম্পর্কে ভাইবোন।

শুধু এই দুই শিশুই নয়, সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওদের মতো ৩০-৪০ জন ছিন্নমূল শিশু রয়েছে যারা নিয়মিত ড্যান্ডি নেশা করে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। নেশার টাকার জন্য এসব শিশু ছোটখাটো ছিনতাই, ছিঁচকে চুরিসহ অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।

মহাসড়কে দাঁড়িয়ে নেশা করার সময় দুই ভাইবোনের সঙ্গে গত রোববার এই প্রতিবেদকের যখন দেখা হয়, তার কিছু সময় আগে তারা এক রিকশা আরোহীর কাছ থেকে ১০০ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছিল। ধরা পড়লেও বয়সের কারণে লোকজন একপর্যায়ে তাদের ছেড়ে দেন।

টাকা ছিনতাইয়ের পর এই প্রতিবেদক তাদের পিছু নেয়। তারা প্রথমে একটি দোকান থেকে রাবার সলিউশন কিনে পলিথিনে ভরে নেয়। এরপর মহাসড়কে গিয়ে সড়ক বিভাজনে হেলান দিয়ে কিছুক্ষণ পরপর মুখের সামনে পলিথিন ধরে শ্বাস নেয় তারা, যা ড্যান্ডি নেশা নামে পরিচিত। একই দিন বাসস্ট্যান্ড এলাকার আরও কয়েকটি স্থানে শিশুদের একইভাবে নেশা করতে দেখা যায়।

বাসস্ট্যান্ড এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ছিন্নমূল শিশুরা দিনরাতের বেশির ভাগ সময়ই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘোরাফেরা করে। তারা কখনো হাত পেতে আবার কখনো পথচারীদের কাছ থেকে থাবা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নেশা করে। বয়সের কারণে পুলিশ ও জনসাধারণ ওদের কিছু বলে না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তারা নানা অপরাধ করে যাচ্ছে।

মকবুল হোসেন নামের এক রিকশাচালক বলেন, ড্যান্ডিতে আসক্ত শিশুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রিকশাস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকে। যাত্রীরা রিকশায় বসে বা নেমে ভাড়া দেওয়ার সময় সুযোগ বুঝে তারা থাবা দিয়ে টাকা নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। রিকশাচালকসহ বাসস্ট্যান্ড এলাকার ব্যবসায়ীদের পরিচিত তারা। কিন্তু বয়সের কারণে সবাই তাদের ক্ষমা করে দেন।

সাভারের মানিকচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বেড়ে ওঠা ড্যান্ডিতে আসক্ত শিশুরা সমাজের জন্য একদিন হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তখন আর তাদের কর্মকাণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সীমাবদ্ধ থাকবে না, সাভারসহ আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, মাদকাসক্ত শিশুদের সরকারি সদন অথবা কোনো অপরাধ সংশোধন কেন্দ্রে আটকে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। তবেই তারা সুস্থজীবনে ফিরতে পারবে।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘বাসস্ট্যান্ড এলাকার ছিন্নমূল শিশুদের বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই। তা ছাড়া, কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেননি। এরপরও খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল ওরফে দাউদ কে, মাস্ক পরা ব্যক্তিটিই কি তিনি

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

সৌদি আরবে অপহরণ, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি দেশে

পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট: ৬০০ কোটি টাকা হারালেন নওগাঁর ৮০০ জন!

ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে নতুন ত্রাস ‘সন্ত্রাসী রনি’

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান ৩ দিনের রিমান্ডে

জেনেভা ক্যাম্পে জাহিদ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

বিদেশ থেকে আসা পার্সেলের নামে প্রতারণা, ব্যবসায়ীর ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল তরুণ