পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নুরাইনপুর লঞ্চঘাটে প্রবেশের টিকিটের মূল্য ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কোনো যাত্রী প্রতিবাদ করলে ইজারাদার কর্তৃপক্ষের লোকজন তাঁদের হয়রানি করছেন বলে জানিয়েছেন একাধিক যাত্রী।
অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সূর্যমণি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বাচ্চু নুরাইনপুর লঞ্চঘাটের ইজারাদার হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করছেন না।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঘাটের প্রবেশের জন্য কাউন্টার থেকে প্রত্যেক যাত্রীকে ৫ টাকা উল্লেখ করা টিকিট দিলেও তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা করে। এমনকি হালকা বহনযোগ্য কোনো মালামাল নিয়ে লঞ্চে ওঠানামা করলেও ঘাট ইজারাদারদের টাকা দিতে হচ্ছে।
নূরে আলম সিদ্দিক নামের একজন যাত্রী বলেন, ‘টিকিটে মূল্য লেখা পাঁচ টাকা। আমি পাঁচ টাকা দিতেই হঠাৎ একজন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেন। পরে মানসম্মানের ভয়ে ১০ টাকা দিয়ে ঘাটে প্রবেশ করি।’
টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা মোসলেম আহম্মেদ বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বকশিশ হিসেবে একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন পরে আবারও পাঁচ টাকাতেই টিকিট বিক্রি হবে। তবে আমাদের কেউ যদি যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকে, সেটা ভুল হয়েছে। বিষয়টি দেখব।’
এ বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার আনোয়ার হোসের বাচ্চু বলেন, ‘টাকা বেশি নেওয়ার কোনো সুযোগ নাই। ঘটনাটি জেনে ওদেরকে আমি বলে দিয়েছি যাতে কারও কাছ থেকে কোনো ভাবেই পাঁচ টাকার বেশি মূল্য না রাখে। এমনকি মালামাল ওঠানামার ক্ষেত্রেও যেন জুলুম না করা হয়।’
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন বলেন, যাত্রী হয়রানির রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।