কোনো ব্যক্তি গাড়ি রেখে গেলে তাঁর পেছনে পেছনে যান চোর চক্রের একজন সদস্য। তিনি তাঁকে পর্যবেক্ষণ করেন। আরেকজন সদস্য আশপাশ রেকি করেন। সেই সঙ্গে তাঁদের অপর একজন কৌশলে গাড়িটির তালা ভেঙে বা লক ছুটিয়ে নিয়ে চলে যান। কিছুদূর চলে যাওয়ার পর তাঁরা সবাই একত্র হয়ে তাঁদের গন্তব্যে রওনা হন। গতকাল বুধবার সকাল ১০টার দিকে ডিএমপির উত্তরা পূর্ব থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম।
ডিসি বলেন, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থেকে গত মঙ্গলবার রাতে সংঘবদ্ধ গাড়ি চোর চক্রের সদস্য মো. জিতু মিয়া (২৬) ও মো. শহীদ মিয়া (২৮) নামের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে উত্তরা পূর্ব থানা-পুলিশ।
মোর্শেদ আলম আরও বলেন, ১২ আগস্ট উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের মসজিদের সামনে প্রাইভেট কার রেখে জুমার নামাজে যান ওই গাড়ির চালক মো. তপু। নামাজ শেষে এসে দেখেন, গাড়িটি নেই। অন্যদিকে গত ২৯ জুলাই আগস্ট উত্তরা পূর্ব থানার বিডিআর মার্কেটে থেকে অপর একটি গাড়ি চুরি হয়। তদন্ত করে দেখা যায়, দুটি গাড়ি চুরির কৌশল একই। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের মসজিদের সামনে থেকে চুরি হয়ে যাওয়া গাড়িটি একজন রাইডারের ছিল। পরে ওই গাড়ির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করে জানতে পারি, চোর হবিগঞ্জে অবস্থান করছে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে দুজন চোরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে তাঁদের বাসা থেকে চুরিসংক্রান্ত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া চোর চক্রের দুই সদস্যের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর মসজিদের পাশ থেকে গাড়িটি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পথেই হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে তাদের গাড়ি চাপায় শিরিন বেগম (৪০) নামের এক নারী নিহত হন। পরে ওই ঘটনায় বাহুবল থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার আলামত হিসেবে গাড়িটি বর্তমানে বাহুবল থানায় জব্দ রয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া সদস্যরা পেশাদার গাড়ি চোর। তাঁদের মধ্যে মূল হোতা জিতু মিয়ার বিরুদ্ধে ৮টি চুরির মামলা রয়েছে।