ইনস্টাগ্রামে ছবি দেওয়ার জন্য পানি থেকে ডলফিন তুলে তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক তরুণ। গত বুধবার ওই ডলফিনটিকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এতে ১৯ বছর বয়সী ওই তরুণ তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন বলে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়।
ওই তরুণ ফ্লোরিডার অ্যামেলিয়া দ্বীপে ডলফিন শাবক কোলে নিয়ে হাস্যোজ্জ্বল ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে। ফ্লোরিডা ফিশ এন্ড ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন কমিটি (এফডব্লিউসি) ও ন্যাশনাল ওশ্যানিক এন্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এ ঘটনার তদন্ত করছে।
এফডব্লিউসির প্রতিবেদনে ডলফিনের এক ছবিতে দেখা যায়, প্রাণিটি ফুলে আছে ও এর মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোস্টাল ও মেরিন বায়োলজির সহযোগী অধ্যাপক ড. কুইন্সি গিবসন বলেন, ‘আমি মনে করি, খুব সম্ভবত ছবিটি মাছটি মারা যাওয়ার পর নেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন ও ছবিতে তাঁরা যেভাবে মাছ ধরেছিল বলে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে তখন এটি জীবিত ছিল।’
তবে ওই তরুণ আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, ‘এটি দুর্ঘটনা ছিল।’ নেতিবাচক মন্তব্যের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মাছ ধরার সময় অন্য মাছের সঙ্গে এ ডলফিন উঠে আসে। এমন ঘটনা জীবনে একবারই ঘটে।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা তাঁর এ উত্তরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন সার্ফার বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিক রেগে গিয়েছিলাম। এটি পরিবেশের বিরুদ্ধে অপরাধ।’
বন্য ডলফিন ধরা অপরাধ হলেও তরুণের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ গঠন করা হয়নি। আইনি পদক্ষেপ নিলে তাঁকে ৩৪ হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হতে পারে বা এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।