হোম > অপরাধ

অবাধে খাল-নদীর বালু উত্তোলন

জাহিদুর রহমান, দাকোপ (খুলনা)

খুলনার দাকোপে কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না ড্রেজার মেশিন (খননযন্ত্র) দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। উপজেলা প্রশাসন বালু উত্তোলনকারীদের ধরিয়ে দিতে বিশেষ পুরস্কার ঘোষণার পরও বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।

উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নের কালিকাবাটি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কালিকাবাটি খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন তাঁর ড্রেজার দিয়ে এই বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় সরকারিভাবে কোনো বালুমহাল নেই। তারপরও কাজীবাছা, পশুর, চুনকুড়ি, ভদ্রা, সুতারখালী, ঢাকী, শিবসা নদী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বেড়িবাঁধের ভেতরে বিভিন্ন খাল থেকে ইচ্ছেমতো মাটি ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বর্তমানে উপজেলা সদরের চালনা, বাজুয়া, লাউডোব, খুটাখালী, সুতারখালীসহ ৮ থেকে ১০টি পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন চলছে। ফলে খাল-নদীর ভাঙনে কৃষিজমির পরিমাণও দিন দিন কমছে।

অধিক লাভের আশায় ক্ষমতাসীন দলের কয়েকজন নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিও এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন কয়েক লাখ ঘনফুট বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কোনো কোনো স্থানে আবার সড়কের ওপর ইট, বালু ও খোয়া দিয়ে পাইপ বসিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বালু উত্তোলনের ফলে যান চলাচলে বিঘ্নসহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এদিকে কথিত ঠিকাদার ও জনপ্রতিনিধিরা ওই নিম্নমানের মাটি ও বালু দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন স্থাপনার কাজ।

জেলা মৎস্যজীবী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি উপজেলার লাউডোব এলাকার তপোক মণ্ডল তপু বলেন, সুন্দরবনের কোলঘেঁষা ছোট এই উপজেলা তিনটি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এবং এক প্রকার বালুর ওপর ভেসে আছে। কিছুদিন আগেও লাউডোব সেতুর দুই পাশে দুটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। এতে সেতুর ক্ষতি হতে পারে, ক্ষতি হতে পারে গ্রামের কার্পেটিং সড়কসহ বিভিন্ন স্থাপনার। এমনিতেই প্রতিনিয়ত নদীভাঙনে বাড়িঘর, ফসলি জমিসহ বেড়িবাঁধ বিলীন হচ্ছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্যও গুরুতর হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়ছে।

তিনি আরও বলেন, এভাবে যত্রতত্র বালু উত্তোলন করলে অচিরেই এই উপজেলা দেশের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। এমনকি মাটির নিচের স্তর ফাঁকা হয়ে সামান্য ভূমিকম্পেও এই জনপদ ধ্বংস হতে পারে। প্রশাসন মাঝেমধ্যে দু-একজন ব্যবসায়ীকে জরিমানা এবং সভা-সমাবেশে আলোচনা হলেও কখনো থামেনি বালু উত্তোলন। দ্রুত এসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে স্থায়ীভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা উচিত।

চালনা পৌর এলাকার মনির আহমেদ বলেন, দাকোপের বিভিন্ন স্থানে বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন করে আসছেন। কেউ কিছু বলতে গেলে তাঁরা বলেন, এগুলো ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাজ। ফলে সাধারণ মানুষ কিছু বলতে সাহস পায় না।

অভিযুক্ত বালু ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘স্থানীয় ইউপি সদস্যের কাজ করছি। আপনারা সাংবাদিক, কিছু বলার থাকলে তাঁকে গিয়ে বলেন।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, তাঁর কাছে খবর এলে সঙ্গে সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছুদিন আগে অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়েকজন বালু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন। তা ছাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালু উত্তোলনকারীদের ধরিয়ে দিতে বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। দ্রুত বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করবেন বলে জানান তিনি।

হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল ওরফে দাউদ কে, মাস্ক পরা ব্যক্তিটিই কি তিনি

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

সৌদি আরবে অপহরণ, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি দেশে

পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট: ৬০০ কোটি টাকা হারালেন নওগাঁর ৮০০ জন!

ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে নতুন ত্রাস ‘সন্ত্রাসী রনি’

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধান ৩ দিনের রিমান্ডে

জেনেভা ক্যাম্পে জাহিদ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

বিদেশ থেকে আসা পার্সেলের নামে প্রতারণা, ব্যবসায়ীর ১১ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল তরুণ