স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। কিন্তু আজ রোববার পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো বিভাগীয় মামলা হয়নি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নথি গায়েব হওয়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য শিক্ষা শাখার চার কর্মচারীকে চিহ্নিত করে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সেই চারজনকে ১৬ নভেম্বর সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার কথা থাকলেও আজ রোববার পর্যন্ত তা হয়নি।
এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে মামলার এজাহারে কী লেখা হবে, তা ঘষামাজা করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই মামলা করা হবে।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন শাখার দুই কর্মচারী আয়েশা ও জোসেফের হস্তক্ষেপেই নথি চুরি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সাময়িক বরখাস্তকৃত চার কর্মচারী হলেন ক্রয় ও সংগ্রহ-২ শাখার সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর আয়েশা সিদ্দিকা ও জোসেফ সরদার, প্রশাসন-২ শাখার গ্রহণ ও বিতরণ ইউনিটের অফিস সহায়ক বাদল চন্দ্র গোস্বামী এবং প্রশাসন-৩ শাখার অফিস সহায়ক মিন্টু মিয়া।
উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় গত ২৮ অক্টোবর শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার। সেখানে বলা হয়, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ক্রয়সংক্রান্ত শাখা-২-এর কম্পিউটার অপারেটর জোসেফ সরদার ও আয়েশা ২৭ অক্টোবর কাজ শেষ করে ফাইলটি একটি কেবিনেটে রেখে গিয়েছিলেন। ওই ফাইলের ভেতরে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন অফিসে গিয়ে কেবিনেটে ওই ফাইলটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্তে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ্ আলমকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়।