হোম > অপরাধ

আড়াই গুণ দামে ফটোকপিয়ার কিনে পদ হারালেন পিডি

উবায়দুল্লাহ বাদল, ঢাকা

৬০ হাজার টাকা দামের প্রতিটি ফটোকপিয়ার মেশিন কেনা হয়েছিল ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায়। একটি-দুটি নয়, বাজারদরের চেয়ে আড়াই গুণ দামে এ রকম ২২২টি ফটোকপি মেশিন কেনা হয় প্রকল্পের জন্য। শুধু তা-ই নয়, পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে লঙ্ঘন করা হয় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা (পিপিআর)।

দরপত্রে আরোপ করা হয় বিধিবহির্ভূত ও অবাস্তব শর্ত। প্রকল্পের কেনাকাটায় এমন অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) অধীন ‘পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ (পজীপ)’-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজকে। সেই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত বিভাগীয় মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। 
গতকাল সোমবার এ-সংক্রান্ত দুটি অফিস আদেশ জারি হয়েছে। জানা গেছে, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গরিব মানুষের মধ্যে সচ্ছলতা ফেরাতে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩ নেয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের জন্য ২২২টি ফটোকপি মেশিন কেনার সিদ্ধান্ত হয় গত বছরের শুরুর দিকে। তখন দেশের বাজারে তোশিবা ব্র্যান্ডের ‘ই-স্টুডিও ২৮২৩ এএম’ মডেলের একটি ফটোকপি মেশিনের মূল্য ছিল ৬০ হাজার টাকা। সেই মেশিনের দাম ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা প্রাক্কলন ধরে স্পেসিফিকেশন ও বাজারদর নির্ধারণ করে প্রকল্পের ক্রয় কমিটি। পরে গ্লোরী অফিস সলিউশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিটি মেশিন সরবরাহ করে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা দামে। অথচ এ প্রতিষ্ঠানই বিআরডিবিতে পণ্য দেওয়ার আগে অন্য প্রতিষ্ঠানে একই পণ্য দিয়েছিল ৬০ হাজার টাকায়, যা দরপত্রে অভিজ্ঞতা হিসেবেও উল্লেখ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সবকিছু জানার পরেও চড়া দামে প্রতিষ্ঠানটি থেকে ফটোকপি মেশিন ক্রয় করেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

প্রকল্পের কেনাকাটায় এসব অনিয়ম মন্ত্রণালয়ের নজরে আনা হলে তা তদন্তের ভার পড়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শরীফুল ইসলামের ওপর। তদন্ত শেষে তিনি যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন তাতে ফটোকপি মেশিন কেনার প্রতিটি ধাপে গুরুতর অনিয়ম হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মেশিন কেনার ক্ষেত্রে লঙ্ঘন করা হয়েছে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা। পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে পিপিআর-বহির্ভূত অবাস্তব শর্ত দেওয়া হয়েছে টেন্ডার ডকুমেন্টে। শুধু কাজ পাইয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, বিল পরিশোধও সুপারসনিক গতিতে করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, পিপিআর না মেনে মাত্র ১৪ দিনে দরপত্র কার্যক্রম শেষ করা হলেও নিয়ম অনুযায়ী সিপিটিইউর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। কম মূল্যে দরপত্র জমা পড়লেও তা আমলে না নিয়ে সর্বনিম্ন দরদাতার চেয়ে ১ কোটি ২২ লাখ ১ হাজার ৭০০ টাকা বেশি মূল্যে দরপত্র অনুমোদন করা হয়।

পিপিআর-২০০৮ অনুসরণ না করে প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজ আর্থিক শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজ করেছেন উল্লেখ করে প্রতিবেদনে ছয় দফা সুপারিশও করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। সুপারিশের মধ্যে পিডি, বাজারদর যাচাই কমিটি ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। তদন্ত কমিটির এমন সুপারিশের পরই  পদ হারালেন প্রকল্প পরিচালক আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজ।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আলমগীর হোসেন আল নেওয়াজ গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এখনো এ ধরনের কোনো কাগজপত্র পাইনি। তাই আমি এখনো পিডি পদেই বহাল আছি।’

বিআরডিবির মহাপরিচালক (ডিজি) আ. গাফ্ফার খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও বলেন, ‘এখনো চিঠি পাইনি। আমাদের একটি প্রকল্পের পিডি ও তাঁর সহযোগীরা বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক পেয়েছেন। আমরা সেখানে ছিলাম। অফিসে গিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’ 

কেরানীগঞ্জে মাদ্রাসায় বিস্ফোরণ: জেএমবির সঙ্গে জড়িতের অভিযোগে পরিচালক গ্রেপ্তার হন দুবার

ডেভিল হান্ট-২: এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৮ হাজার ৫৯৭

ডেভিল হান্ট-২: এক দিনে আরও ৬৯৮ জন গ্রেপ্তার

হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন ফয়সাল ওরফে দাউদ কে, মাস্ক পরা ব্যক্তিটিই কি তিনি

খুনের পর মোবাইল, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট, ‘গৃহকর্মী আয়েশা’র পরিচয় মেলেনি

সৌদি আরবে অপহরণ, ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি দেশে

পুলিশের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট: ৬০০ কোটি টাকা হারালেন নওগাঁর ৮০০ জন!

ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে নতুন ত্রাস ‘সন্ত্রাসী রনি’

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ মামুন হত্যার ঘটনায় ২ শুটার শনাক্ত, গ্রেপ্তার যেকোনো সময়