গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে পাঁচ দিনের ব্যবধানে একই গ্রামে দুটি গরু ও দুটি মোটরসাইকেল চুরি এবং দুটি মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়েছে। এতে নির্ঘুম আর আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ওই গ্রামের মানুষজন। উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ফলগাছা গ্রামে এসব ঘটনা ঘটছে।এলাকাবাসীর দাবি, এলাকায় মাদক কারবারিদের তৎপরতা ও মোবাইল ফোনে জুয়া খেলা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ অপরাধগুলো হরহামেশাই হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তাঁরা এলাকায় পুলিশের প্যাট্রল ডিউটিসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জোর দাবি জানিয়েছেন।
চুরি যাওয়া দুই গরুর মালিক বসুনিয়া ফলগাছা গ্রামের আবু জাফর শামসুদ্দিন দুলু বসুনিয়া (৭০) বলেন, ‘গত বুধবার রাতে গোয়ালঘর দেখে গরু দেখে ঘুমাই। পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে দেখি তিনটি গরুর মধ্যে দুটি নেই। খোঁজাখুঁজির পর গরু দুটি না পেয়ে পুলিশে খবর দিই। এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাইনি। বাকি গরুটা নিয়ে খুব টেনশন হচ্ছে। গোয়ালঘরে না শোয়ার ঘরে রাখছি। ঘুমও হচ্ছে না রাতে। পালাক্রমে পাহারা দিচ্ছি।’
পীরগাছা উপজেলার পাঠক শিকড় গ্রামের মো. সাজেদুল ইসলাম সাজু (৪৫) বলেন, ‘গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে ফলগাছা গ্রামের মো. ফজল হক মিয়ার বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাই। বাড়ির উঠানে মোটরসাইকেল রেখে দাওয়াত খেতে বসি। সর্বোচ্চ ১০ মিনিট সময় লেগেছে আমার ভাত খেতে। বের হয়ে দেখি আমার মোটরসাইকেলটি নেই। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান পাইনি।’
রামদেব খবির উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের প্রদর্শক মো. আবু হান্নান মিয়া বলেন, গত শনিবার রাতে তাফসির মাহফিল শুনে বাড়ি ফিরছিলেন মনিরাম কাজী গ্রামের দুই ছেলে। দুলু বসুনিয়ার বাড়িসংলগ্ন ব্রিজে পৌঁছালে তাঁদের কাছে থাকা দুটি দামি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে হান্নান আরও বলেন, ‘এলাকায় থানা-পুলিশ গ্রাম পুলিশ, দফাদারসহ সবাই আছেন। তাঁরা কেউ আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না। আমরা কোথায় যাব?।’
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম পেট্রল ডিউটি দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘দুটি গরু ও দুই মোটরসাইকেল চুরির বিষয়টি জেনেছি। উদ্ধারে পুলিশ ব্যাপক তৎপরও রয়েছে। তবে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানা নেই। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখা হবে।’