তবে দু-এক দিনের মধ্যে বন্ধ করে দেওয়ারও কথা বলছেন কেউ কেউ। প্রশাসন বলছে, যারা সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে কোচিং সেন্টার খোলা রেখেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ নগরীসহ পুরো জেলায় পাঁচ শতাধিক কোচিং সেন্টার রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বেশির ভাগ কোচিং সেন্টার নগরীতে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে। ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমনটাই জানিয়েছেন।
কিন্তু গতকাল সোমবার সকালে নগরীর কোচিং সেন্টারখ্যাত নাহা রোড, বাউন্ডারি রোড, পিয়ন পাড়া, জিলা স্কুল রোড, গুলকীবাড়ি, কালীবাড়ি, সানকিপাড়া, এবি গুহ রোড এবং নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ কোচিং সেন্টার চালু রয়েছে। এসব কোচিং পরিচালনায় রয়েছেন বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, ময়মনসিংহ জিলা স্কুল ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা। শিক্ষকেরা বলছেন, মাসিক বেতন এখনো শিক্ষার্থীরা না দেওয়ায় কোচিং সেন্টার চালু রেখেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে বেতন দিয়ে দিলে কোচিং বন্ধ করে দেবেন।
গতকাল সোমবার সকালে বাউন্ডারি রোডে গিয়ে দেখা যায়, নাঈম স্যারের সৃজনশীল বিজ্ঞান অঙ্গনে তিনি নিজেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস করাচ্ছেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার জন্য সোমবার থেকে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।