ভিয়েতনামের সঙ্গে নতুন একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই চুক্তির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
এপ্রিলে ট্রাম্পের ঘোষণা করা পাল্টাপাল্টি শুল্কনীতির আওতায় ভিয়েতনাম থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৪৬ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সপ্তাহ থেকে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে এসে দুপক্ষের আলোচনার মধ্য দিয়ে কমানো হলো শুল্কের হার। নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পণ্যের ওপর নতুন করে পাল্টা কোনো শুল্ক আরোপ করছে না ভিয়েতনাম। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে খোদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
শুল্ক মূলত আমদানি করা পণ্যের ওপর আরোপিত কর। এবং এই কর যে প্রতিষ্ঠান পণ্য ক্রয় করছে তারই পরিশোধ করতে হয়, যে বিক্রয় করছে তার নয়। সেই হিসাবে বিভিন্ন দেশের ওপর ট্রাম্প যে শুল্ক বসিয়েছেন তা পরিশোধ করতে হচ্ছে মার্কিন ব্যবসায়ীদেরই। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে সাধারণ মার্কিনিদের। কারণ, অতিরিক্ত শুল্ক পরিশোধে আমদানিকারকের যে খরচ হয়, তা তারা ভোক্তার কাছ থেকে উশুল করে নেয়।
ট্রেড ও ম্যানুফ্যাকচারিং বিষয়ক ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ভিয়েতনাম যে সব পণ্য রপ্তানি করে, তার এক-তৃতীয়াংশই আসলে চীনের তৈরি—শুধু ভিয়েতনাম হয়ে পাঠানো হয়। ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘ভিয়েতনাম এমন কিছু করতে রাজি হয়েছে যা তারা আগে কখনো করেনি—তারা যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের বাজারে সম্পূর্ণ প্রবেশাধিকার দেবে। অর্থাৎ, তারা নিজেদের বাজার আমাদের জন্য খুলে দেবে, ফলে আমরা শূন্য শুল্কে ভিয়েতনামে পণ্য বিক্রি করতে পারব।’
ভিয়েতনাম এখন নাইকি, অ্যাপল, গ্যাপ, লুলুলেমন-এর মতো বড় কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে চীনের ওপর শুল্ক বসানোর পর অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানা চীন থেকে সরিয়ে ভিয়েতনামে এনেছিল।
চুক্তির খবর ছড়াতেই ভিয়েতনামে পণ্য তৈরি করে এমন কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেড়ে যায়। তবে ২০ শতাংশ শুল্ক বজায় থাকবে—এমন খবরের পর আবার তা কমে যায়।
আরও খবর পড়ুন: