পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৬তম আসর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে মেলার উদ্বোধন করেন।
আইসিটি পণ্য সেবাকে জাতীয়ভাবে ২০২২ সালের বর্ষ পণ্য বলে ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাসব্যাপী এই বাণিজ্য উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের কাছে দেশের সক্ষমতার বাতাটি জোরালোভাবে পৌঁছে দেবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৫ সাল থেকে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। তবে করোনাভাইরাসের কারণে ২০২১ সালে বাণিজ্য মেলা হয়নি। এক বছর বিরতির পরে এবারই পূর্বাচলে স্থায়ী মেলা কমপ্লেক্সে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশমূল্য বড়দের জন্য ৪০ ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাধারণ দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল থেকে মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি ডেডিকেটেড সার্ভিসের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাণিজ্য মেলা পর্যন্ত ৩০টি বিশেষ বাস চলবে। ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা। মতিঝিল ও মিরপুর থেকেও মেলা প্রাঙ্গণ পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি ফুড স্টল দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা অন্য বছরের তুলনায় অর্ধেক। মেলায় মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠানের বিদেশি স্টল থাকবে।