দেশের রপ্তানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২২ সালের জন্য ১৮৪ ব্যবসায়ীকে বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি হিসেবে নির্বাচিত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বুধবার এক প্রজ্ঞাপনে সিআইপিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সিআইপিদের মধ্যে সরাসরি রপ্তানি খাতে অবদানের জন্য ১৮৪ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কাঁচা পাট শ্রেণিতে দুই, পাটজাত পণ্যে চার, চামড়াজাত পণ্যে ছয়, হিমায়িত খাদ্যে চার, ওভেন পোশাকে (একক) ১৭, ওভেন পোশাক (গ্রুপ) শ্রেণিতে এক, কৃষিপণ্যে পাঁচ, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যে পাঁচ, হালকা প্রকৌশল পণ্যে চার, ফার্মাসিউটিক্যালস শ্রেণিতে তিন এবং হস্তশিল্প শ্রেণিতে চারজন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদের মধ্যে হোম টেক্সটাইলে চার, নিট পোশাকে (একক) ২৫, নিট পোশাকে (গ্রুপ) নয়, সিরামিক পণ্যে এক, প্লাস্টিক পণ্যে চার, বস্ত্র খাতে সাত, আসবাবে এক এবং কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটার সেবা ও ডেটা প্রসেসিং ইত্যাদি পণ্য ও সেবা শ্রেণিতে দুজন নির্বাচিত হয়েছেন। এ ছাড়া বিবিধ পণ্য শ্রেণিতে ২৭ জন ও ইপিজেডভুক্ত পাঁচ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। এর বাইরে ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে ৪৪ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সিআইপিদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সিআইপি (রপ্তানি) নীতিমালা অনুযায়ী তাঁদের নির্বাচিত করেছে সরকার।
আগামী এক বছরের জন্য নির্বাচিত সিআইপিরা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য পাস ও গাড়ির স্টিকার পাবেন। এ ছাড়া জাতীয় অনুষ্ঠান ও নাগরিক সংবর্ধনায় দাওয়াত, ব্যবসা-সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার ও বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা পাবেন। সিআইপিরা তাঁদের স্ত্রী, সন্তান ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁদের জন্য ‘লেটার অব ইন্ট্রোডাকশন’ দেবে।